তাহেরপুরে বিদ্যুতের নকল বৈদ্যুতিক সামগ্রীতে বাজার সয়লাব’দেখার কেউ নেই!

// নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় দেশের প্রসিদ্ধ কোম্পানির নকল ও নি¤œমাণের বৈদ্যুতিক তার, এনার্জি বাল্ব, হোল্ডার, সকেট এবং মাল্টিপ্লাগসহ বিভিন্ন প্রকারের নি¤œমাণের বৈদ্যুতিক পণ্য সামগ্রীতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে পল্লী বিদ্যুতের এক সময়ের অনুমোদিত একশ্রেণীর ডিলার এসব পণ্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অল্প পুঁজিতে অধিক মুনাফা হওয়ায় এসব নি¤œমাণের বৈদ্যুতিক পণ্য সামগ্রী বিক্রিতে তারা বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে প্রতিনিয়ত নি¤œমাণের এসব পণ্য সামগ্রীর বিক্রি বাড়ছে। এসব বৈদ্যুতিক পণ্য সামগ্রী আসল ? নকল ? না ? নি¤œমাণের সেটা বোঝার মতা নাই সাধারণ মানুষের। সাধারণ মানুষের এই সরলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব ব্যবসায়ীরা নি¤œমাণের বৈদ্যুতিক পণ্য সামগ্রী বেশি দামে তাদের কাছে বিক্রি করছে। এসব নি¤œমাণের বৈদ্যুতিক পণ্য সামগ্রী কিনে ক্রেতারা একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বৈদ্যুতিক (সর্টসার্কিট) দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লাইনম্যানগণ আর্থিক সুবিধা (কমিশন) পওয়ার আশায় সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের এসব নি¤œমাণের বৈদ্যুতিক পণ্য সামগ্রী কিনতে বাধ্য করছেন। গ্রাহকগণ বিদ্যুতের যে কোনো সমস্যা নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ে গেলে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিদ্রিষ্ট (ডিলার) দোকানে তাদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক নিদ্রিষ্ট দোকান থেকে বিদ্যুৎ সামগ্রী না কিনলে সময় মতো কাজ না করা, অহেতুক ক্রটি দেখানো ও বিভিন্ন কৌশলে গ্রাহককে হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে গ্রাহকগণ তাদের মনোনিত দোকান থেকে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে নি¤œমাণের বৈদ্যুতিক পণ্য সামগ্রী কিনতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এসব ব্যবসায়ীরা পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-বর্মচারীদের দেয়া কমিশনের টাকা আদায়ের জন্য গ্রাহকের কাছে নি¤œমাণের সামগ্রী দিয়ে উচ্চ মূল্য দাম নিচ্ছেন। তাহেরপুর পৌরসভায় বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও যেনো দেখার কেউ নেই। এলাকায় এসব নকল ও নি¤œমাণের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি করেন বলে এলাকায় ব্যাপক প্রচার রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এলাকার ইলেক্ট্রনিক্স দোকান গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হলে এসব অনিয়ম বহুলাংশে হ্রাস পাবে।#