// অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
বরিশালের আগৈলঝাড়ার গৈলা-গুপ্তেরহাট-কুমারভাঙ্গার গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কটি ভেঙে এবং গর্ত হয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যানবাহনসহ হাজার হাজার পথচারীদের। এই সড়কটি ছয় বছর পূর্বে সংস্কার করা হয়েছিল। এরই মধ্যে সড়কটির বিভিন্ন স্থানের কাপেটিং উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে পরেছে। বৃষ্টির সময় গর্তে পানি জমে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন গাড়ি নিয়ে চলাচলকারী ও পথচারীরা।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের গৈলা-গুপ্তেরহাট-কুমারভাঙ্গার মত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে উত্তর এলাকার হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন চলাচল করছে। এই সড়কটি এতই গুরুত্ব যে সড়কের পাশে বসবাসকারীরা রাতে গাড়ির শব্দে ঘুমাতে পারছে না। গত সাত বছর পূর্বে প্রভাবশালী এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই সড়কটি পাকাকরণের কাজ করেছিলেন। কাজের মান তখন খারাপ হলে প্রভাশালীর ভয়ে কারণে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। সড়ক সংস্কারের সময় এলজিইডি বিভাগ নি¤œমানের কাজ দেখেও অজ্ঞাতকারণে ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। একারণে সড়ক সংস্কারের তিন বছর যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাপেটিং উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচলে দুভোর্গের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির অনেক স্থান দেখে মনে হচ্ছে এটি পাকা সড়ক নয়, গর্তের সড়কে পরিণত হয়েছে। তারপরেও ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজনসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূঘর্টনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। তারপরে এলজিইডি বিভাগ এই সড়কের প্রতি কোন নজর দিচ্ছেনা।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র নাথ সাংবাদিকদের বলেন, আমি ওই সড়কটি সরেজমিন দেখে সংস্কারের ব্যবস্থা করবো। উপজেলার অনেক স্থানেই এরকম অনেক সড়ক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। এগুলো চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সংস্কার করা হবে।