// সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়া শহরে ছয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে চালকরা।রোববার দুপুর সোয়া ১ টা থেকে পৌনে ২ টা পর্যন্ত আধ ঘণ্টাব্যাপী সাতমাথা-তিনমাথা সড়কের ফলপট্টি স্ট্যান্ডে এ অবরোধ ও বিক্ষোভ করা হয়।
এ সময় ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে সিএনজি চালকেরা মামলার নামে হয়রানি ও কারণ ছাড়াই আটকের অভিযোগ করেন।
খবর পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরফাত ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক সিএনজি ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে চালকরা অবরোধ তুলে নেন। আধ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই অবরোধে বগুড়া শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেন শহরমুখী মানুষেরা।
জানা যায়, রোববার দুপুর ১২ টার দিকের ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহাবুবুল অবৈধ পার্কিং এর অভিযোগ এনে ফলপট্টি স্ট্যান্ড থেকে ছয়টি সিএনজি আটক করেন। এই সময় মামলা থেকে বাঁচতে চালকরা সিএনজি রেখে পালিয়ে যান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করেন।
সিএনজি চালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভা ইজারা দিয়ে এখানে সিএনজি স্ট্যান্ড বসিয়েছে। এই স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বগুড়া শহরে আসা যাওয়া করেন। ট্রাফিক পুলিশের ইচ্ছে হলেই এখানে এসে সিএনজি আটক করে নিয়ে গিয়ে মামলা দেয়। অল্প টাকার মামলা হলেও হতো। সিএনজির লাইসেন্স কাগজ পত্র থাকার পরও ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মামলা দেওয়া হয়। এতগুলো টাকা আমাদের মাস গেলে আয়ও হয়না। সড়কের ওপরে স্ট্যান্ড পৌরসভা বসিয়েছে। প্রতিদিন সিএনজি প্রতি ১০ টাকার টোলও নেয়। এখানে তাদের কি দোষ?
বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহাবুবুল ইসলাম খান জানান, সিএনজি চালকরা সড়ক দখল করে ছিল। এছাড়াও কোন কাগজপত্র না থাকায় ছয়টি সিএনজি আটক করা হয়। সবকিছু আইনগতভাবেই হয়েছে। পৌরসভা সেখানে স্ট্যান্ড হিসেবে ইজারা দিয়ে থাকলেও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে সিএনজি থাকবে। চালকরা এক সড়কেই তিন থেকে চার লাইন বানিয়ে যানজট সৃষ্টি করে। তারা চায় তাদের বিরুদ্ধে যেন কোন আইনি ব্যবস্থাই না নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) আব্দুর রশিদ জানান, আটক সিএনজিগুলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যায় এ নিয়ে মোটর শ্রমিক নেতা ও চালকদের সাথে বৈঠকে বসা হবে। প্রকৃত ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।