// সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
সাঁথিয়ার বনগ্রাম মাস্টারপাড়ায় আদালতের উচ্ছেদ অভিযান, অতঃপর বহিরাগত বাহিনী দ্বারা বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। সস্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগি দুই পরিবারের।
জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার আর.আতাইকুলা ইউনিয়নের বনগ্রাম মাষ্টারপাড়া গ্রামের হাজ¦ী বজলু প্রামানিকের স্ত্রী লুৎফর নাহার (৭৫) ১৯৮৮ সালে আরশেদ আলীর নিকট থেকে বনগ্রাম মৌজার আর,এস -৭৮৮ ও ৮১৩ খতিয়ানের ৯৯২, ১০৩০, ১০৩১ দাগের ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। উক্ত স্থানে ১৯৮৯ সালে দুইতলা বিল্ডিং নির্মান করে বসবাস করেন।
প্রভাষক সৈয়দ মুনসুর লুতফর নাহারের দক্ষিণ পাশে সোলেমানের নিকট থেকে ২০০৫ সালে সাড়ে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেখানে দুইতলা বিল্ডিং নির্মান করছেন ( কাজ চলমান)।
পরবর্তীতে উক্ত জমির অন্যান্য মালিকদের নিকট থেকে বিভিন্ন দাগের^ আরো জমি ক্রয় করেন প্রভাষক মুনসুর। তিনি ২০ শতাংশ জমির নামজারি করে একদাগ দাবি করে আদালতে মামলা করে।
ভুক্তভোগী লুৎফর নাহারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ফারুক জানান, আদালতে মামলা করে সকল নোটিশ গোপন করে তাদের না জানিয়ে একতরফা রায় করেন প্রভাসক মনসুর। পরবর্তীতে ০১/২০২৩ নং উচ্ছেদ মামলা করে একই নিয়মে সকল নোটিশ গোপন করে। গত ৬জুন আকস্মিক ভাবে আদালতের নির্দেশে দুই তলা বাড়ীর প্রায় অর্ধেক ভেঙ্গে ফেলে।
ফারুক আরো জানান, পরবর্তিতে প্রভাসক মনসুরের বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা আমাদের ঘর ভাংচুর ও ঘরে রাখা স্বর্নালঙ্কারসহ নগদ টাকা লুট করে। এতে তার প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন ফারুকের পরিবার প্রভাষক মনসুরের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অপরদিকে একই কায়দায় প্রভাসক মনসুরের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের বাইরে হাজ¦ী সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহিনুরের বাড়ীর তিনটি ঘর ভাংচুর করে। এসময় বহিরাগতরা ঘরে থাকা দুইলাখ আশি হাজার টাকা লুট করে বলে জানান শাহিনুর। উচ্ছেদ ভাংচুরের ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার কেন্দবিন্দু হয়েছে।
স্থানীয় আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে আবুল কালাম জানান, আমার বাবার নিকট থেকে আধা শতক জমি রেজিষ্টারের কথা বলে প্রভাষক সৈয়দ মনসুর ৪ শতক জমি রেজিষ্টারি করে নেন। এছাড়ায় এলাকায় তার বিরুদ্ধে ভুমি দখলের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
প্রভাষক সৈয়দ মনসুর জানান, আমি আদালতে ১৭৮/০৮ নং বাটোয়া মামলা করি। আদালতের রায়ের পর ০১/২৩ উচ্ছেদ মামলায় আমার জায়গা দখল মুক্ত করা হয়। বহিরাগতদের ব্যাপারে তিনি অস্বীকার করেন।
আর আতাইকুলা ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম জানান, উচ্ছেদ ও ভাংচুরের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশে ভবনের অংশ বিশেষ উচ্ছেদ করা হয়। আদালতের নির্দেশে আমি আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলাম।