শুদ্ধাচার পুরস্কার পাচ্ছেন কালিহাতীর যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা

// কামরুল হাসান , টাঙ্গাইল পতিনিধিঃ সরকারের শুদ্ধাচার কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তারই অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয়গুলোর যুব কার্যক্রমের ওপর নিরীক্ষার ভিত্তিতে কালিহাতী উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল ছালেক-কে শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২৩ প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

গত ৭ জুন টাঙ্গাইল উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে শুদ্ধাচার মূল্যায়ন কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, মোহাম্মদ আব্দুল ছালেক ‘উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা’ হিসেবে ১৬ জুন ২০০৩ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি কালিহাতী উপজেলায় চার বছর ধরে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে কালিহাতী উপজেলায় অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণে গুণগত মান উন্নয়ন, ক্লাবভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, যুব সংগঠনগুলোকে রেজিস্ট্রেশন প্রদান, সামাজিক কাজে নিয়োজিতকরণ, যুবঋণ বিতরণ ও আদায়ে সরকারের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করায় এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। পুরস্কার হিসাবে তিনি পাবেন এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ও সনদ।

এ প্রসঙ্গে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক ফাতেমা বেগম বলেন, ’জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র প্রণয়ন এবং ২০১৭ সালে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা প্রণয়ন করেন। টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার সার্বিক যুব কার্যক্রম আমরা বিস্তারিত পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই শেষে কালিহাতী উপজেলার যুব উন্নয়ন অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল ছালেককে শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২৩ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তিতে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা আমাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই পুরস্কার আমার পেশাগত কাজের দায়িত্ববোধকে আরও বাড়িয়ে দিলো। কালিহাতীর বেকার যুবদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও যুবসংগঠনগুলোকে উজ্জীবিত ও গতিশীল করতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সেবামূলক কাজগুলো আরও দক্ষতার সঙ্গে অব্যাহত রাখব।’
জানা যায়, এই কর্মকর্তা ছাড়াও টাঙ্গাইলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপজেলা পর্যায়ে ২০২৩ সালে ভিন্ন ক্যাটাগরীতে সখিপুরের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শামীম আল মামুন ও দেলদুয়ারের অফিস সহায়ক লাল মিয়া শুদ্ধাচার পুরস্কার পাচ্ছেন।