// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো মনিরুজ্জামান মনির ও তার লোকজন মামলা প্রত্যাহারের হুমকির অভিযোগে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা কথিত গৃহবধূ মনিকা আক্তার স্মৃতিকে অসামাজিক কার্যকলাপ করা অবস্থায় খদ্দেরসহ আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় শহরের হরিশপুর এলাকায় অবস্থিত ভিআইপি আবাসিক হোটেলের ৪০৫ নম্বর কক্ষ থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাটোর সদর থানার এস,আই আসমাঈল হক সহ সঙ্গীয় ফোর্স শহরের হরিশপুরে হোটেল ভি আইপিতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হোটেলটির ৪০৫ নং কক্ষ থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের রকি প্রামানিকের স্ত্রী মনি ওরফে মনিকা আকতার স্মৃতি এবং খদ্দের শহরতলীর বনবেল ঘড়িয়া এলাকার ফায়জুলের ছেলে টুটুল (২২) কে আটক করে। বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে রয়েছে।
জানা যায়,গত ৪ জুন ঐ নারী নিশান নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় ধর্ষন মামলা করে। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে মনিকা খাতুন বৃহস্পতিবার(৮ জুন) সকালে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় একটি রেস্তোরায়সংবাদ সম্মেলন করে ।
সংবাদ সম্মেলনে কথিত গৃহবধূ মনিকা ওরফে স্মৃতি অভিযোগ করেন, গত সোমবার (৫ জুন) বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা নিশানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। আপোষ করে মামলা না তুললে তারা তাদের অনুসারিদের দিয়ে আমাদের একঘরে করে রাখার হুমকি দিচ্ছে। গত ৫ জুন সোমবার মেয়র মনির ফোন করে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি প্রদান করে। এ সংক্রান্ত রেকর্ডিং আমার কাছে রয়েছে। একইভাবে চেয়ারম্যান আসাদ নিশানের পক্ষ নিয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকিধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ আমার মতো ভিকটিমের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে অসামি নিশানের মতো অপরাধীর পক্ষ নিয়েছেন। তারা সরাসরি মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন। তাদের এমন অব্যাহত চাপ আমার পরিবারকে আতঙ্কিত করছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হুমকি ভয়ভীতি বন্ধে নাটোরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের দুইদিন পরে তিনিই
আজ শনিবার অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হলেন।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক আসমাঈল হক জানান, আটককৃতরা বর্তমানে সদর থানা হেফাজতে রয়েছে। আগামীকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।