// লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
এ বছর মন্দিরের রাস্তার দুই পাশের সুপারি গাছ গুলো থেকে সুপারি বিক্রি করে আয় হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।
সুপারি গাছগুলোকে দেখলে মনে হয় গাছে শুধু সুপারিই নয় বাতাসে দুলছে টাকা । এই মডেল অনুসরণ করে মোগলহাট ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম এক কিলোমিটার করে ঌ টি ওয়ার্ডে মোট ১০ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে সুপারির গাছ রোপন করলে, গোটা ইউনিয়ন আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে জানান মন্দির সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক লক্ষীকান্ত বর্মন।। পরিবেশ প্রেমি এই শিক্ষক বলছেন, এক কিলোমিটার রাস্তায় ২ মিটার পর পর সুপারির চারা রোপন করলে রাস্তার দুই পাশে এক কিলোমিটার রাস্তায় ১০০০ টি সুপারির গাছ রোপন করা যাবে। এভাবে ১০ কিলোমিটার রাস্তায় মোট ১০ হাজার টি সুপারির চারা রোপন করা সম্ভব। সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নিলে চারা রোপনের ৪-৫ বছর পর প্রতি গাছে, গড়ে ২০০ টি করে সুপারি ফল ধরবে। এক একটি সুপারি গড়ে ৫ টাকা হলে একটি গাছ থেকে আয় হবে বছরে ১০০০ টাকা। আর একটি গাছ থেকে এক হাজার টাকা আয় হলে ১০,০০০ টি গাছ থেকে প্রতি বছর আয় হবে ১ (এক) কোটি টাকা। জনপ্রতিনিধি সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ সু-দৃষ্টি দিলে লালমনিহাট জেলায় ৪৫টি ইউনিয়নে সুপারির চারা রোপন করা সম্ভব হবে এবং লালমনিহাট জেলা বাংলাদেশের মধ্যে পরিচিতি লাভ করবে।