// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ভিড় করেন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানি ও রোগীদের সঙ্গে অনধিকার চর্চার ফলে রোগী ও তাদের স্বজনদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওষুধ প্রতিনিধিদের জন্য সপ্তাহে দুই দিন রবি ও বুধবার দুপুরের পর চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা থাকলেও তা মানেন না কেউ। রোগীরা চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হওয়ামাত্রই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা রোগীর চারদিকে ভিড় করেন। চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে কি ঔষধ লিখেছেন, তার ছবি তুলতে ব্যবস্থাপত্র টানাহেঁচড়া করেন। এতে মুমূর্ষু রোগীসহ স্বজনরা বিরক্ত হলেও এ থেকে রেহাই পান না কেউ। এতে প্রায়ই তাদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের উচ্চ বাক্য বিনিময় হয়। আবার হাসপাতালের তৃতীয়, চতুর্থ ও আউট সোর্সিসিংয়ের কর্মচারীদের সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।উপজেলার দক্ষিণ লালপুর গ্রামের মবিয়া বেগম ও অমৃতপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, কোমর ব্যথা ও চর্মজনিত সমস্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে বাইরে আসা মাত্রই এক লোক তার ব্যবস্থাপত্রটি টেনে নেন। মোবাইল দিয়ে ছবি তোলা শেষে অন্য রোগীর পেছনে ছুটতে থাকেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, রিপেজেন্টিভের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ তারা, মাঝে মধ্যে তাদের সাথেও খারাপ আচারণ করেন রিপেজেন্টিভরা।
বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমরা একাধিকবার নোটিশ দিয়ে জানালেও এসব প্রতিনিধিরা তাদের ইচ্ছামতো আসে যায়, এ বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম শাহাবুদ্দিন বলেন, ওষুধ প্রতিনিধিদের জন্য সপ্তাহে দুই দিন রবি ও বুধবার দুপুরের পর সময় নির্ধারণ করা থাকলেও তারা অধিকাংশ স্থানীয় হওয়ায় আমাদের আদেশ অমান্য করে প্রবেশ করে বিষয়টি নিয়ে আবারও ডাক্তারদের সাথে বসে তাদেরকে চিঠি দেওয়া হবে।