আগৈলঝাড়ায় লোডশেডিংয়ের অবস্থা ভয়াবহ : প্রত্যন্ত গ্রামে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন

// অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে লোডশেডিং আরও ভয়াবহতা বিরাজ করছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাকা ভিত্তিক দিনে রাতে মোট ১০ থেকে ১২ বার লোডশেডিং হচ্ছে। এই লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে সকল পর্যায়ের মানুষদের।
আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৫২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের বর্তমানে বিদ্যুৎ এর চাহিদা ১১ মেগাওয়াট থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট। এছাড়া পায়রা বন্দর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে এলাকায় লোডশেডিংয়ের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে ঘণ ঘণ লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ সংকটে জনজীবন অচল হয়ে পরেছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়া ছাড়াও অফিস আদালতে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পরেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক গুণ। এই বাড়তি চাহিদা পুরণ করতে পারছেনা বিদ্যুৎ অফিস। তাই এলাকাভিত্তিক শুরু হয়েছে লোডশেডিং। চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সর্বত্র দেখা দিয়েছে লোডশেডিং। তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে বয়স্ক ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পরেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভয়াবহ তাপ প্রবাহের কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যার পরপরই উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজার জনশূণ্য হয়ে পড়ছে। ঘণ ঘণ লোডশেডিংয়ে টেলিভিশন, ফ্রিজ, মর্টার, কম্পিউটারসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে রাতে চার্জ দিতে না পারায় উপজেলার অসংখ্য ইজিবাইক চালকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে গরমের কারণে বেড়ে গেছে বিদ্যুতের চাহিদা। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারার কারণে উপজেলার সর্বত্র চলছে লাগাতার লোডশেডিং।
বারপাইকা গ্রামের গৃহিণী ঊষা রানী জানান, রাতে বেশির ভাগ সময় লোডশেডিংয়ের কারণে পরিবার নিয়ে বাধ্য হয়ে বাইরে রাতযাপন করতে হচ্ছে।
আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম অসিত কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। এছাড়া উপজেলায় বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ১১ মেগাওয়াট থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট। যা চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম।