// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়া চাচাদের ৩ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে যুবক ভাতিজা নয়ন গমেজ (৩৬)। একই সাথে ৯টি দামী মেহগনি গাছ ও ২টি আম গাছ কেটে বিক্রি করে সেখানে কলা গাছ রোপন করেছে সে। ভাতিজার এই জুলুম থেকে রক্ষা পেতে সমাজ প্রধানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় চাচারা। ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়ার পর তথ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে জমি দখলমুক্ত করার জন্য নয়ন গমেজকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছে না সে। পক্ষান্তরে বৃদ্ধ চাচাদের ভয়ভীতি দেখানো সহ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে লিটন।
জানা যায়, উপজেলার জোনাইল চামটা ছিটকীগাড়ি গ্রামের বালিরাম গমেজের মৃত্যুর পর জমিজমা সকল রেকর্ডমূলে ১৯৯০ সালে তৎসময়ের জীবিত চার ছেলে, দুই মেয়ে ও মৃত এক ছেলের স্ত্রী এবং সেই স্ত্রী’র সিদ্ধান্ত মতে দুই নাবালক ছেলের নামে বন্টননামা দলিল সম্পন্ন করা হয়। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ওই দলিল মূলে সকলে যার যার অংশে ভোগ দখলে আছেন। সম্প্রতি চার চাচা হিলারিশ গমেজ, এলিয়াস গমেজ, যোশেফ গমেজ ও সুনিল গমেজ বৃদ্ধ ও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সুবাধে বড় ভাই মৃত গোলাপ গমেজের ছেলে লিটন গমেজ স্থানীয় কয়েকজন অর্থলোভী প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ৩ বিঘা জমি দখল করে নেয়। লিটন সেই জমিতে থাকা ৩ লক্ষাধিক টাকার গাছ একদিনের মধ্যে কেটে বিক্রি করে দেয় এবং সেখানে কলা গাছ লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে চাচারা সমাজ প্রধান ও ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারস্থ হলে দখলকৃত জমি চাচাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও তা মানছে না ভাতিজা লিটন।
এ ব্যাপারে লিটন গমেজ জানান, দাদু গোলাপ গমেজের জমির রেকর্ড মূলে পিতা যতটুকু জমি পায় আমি ততটুকুই দখল করেছি। এক্ষেত্রে বন্টননামা দলিলে কি আছে তা আমি দেখবো না।
জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, জমির দলিল ও সংশ্লিষ্ট সকল কাগজমুলে লিটন কোনভাবেই চাচাদের জমির অংশ পাবে না। এটা জবরদখল ছাড়া অন্য কিছুই না।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, বিষয়টিতে আমি অবগত। লিটন গমেজ আদালতের মাধ্যমে বন্টননামা দলিল বাতিল না করা পর্যন্ত চাচাদের জমি দাবি করতে পারবে না। তার এই দখল আইন পরীপন্থী। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।