// মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে পাথর বালু ও বৃক্ষ লুটপাট টিকিয়ে রাখতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিককের বিরুদ্ধে মকরুল বাহিনী মানববন্ধন করেছে। ৭মার্চ সকাল ১১টায় কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মকরুল বাহিনীর ২ শতাধিক কাঠ,পাথর ও বালুচোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা অংশ নেয়। মকরুল বাহিনীর মহাসচিব বাকাকুড়া গ্রামের মুসা সরদার, সদস্য সাইফুল ইসলাম ও বাবুলের নেতৃত্বে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে ঝিনাইগাতী উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকের চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেয়া হয়। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে বন কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ রাংটিয়া রেঞ্জের তাওয়াকোচা ফরেস্ট বিট কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এসময় এখানে যোগদানের পরপরই তিনি একটি বাহিনী গড়ে তুলেন। স্থানীয়ভাবে এ বাহিনীর নাম দেয়া হয় মকরুল বাহিনী। এ বাহিনীর মহাসচিব হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে মকরুল ইসলাম আকন্দের ভায়রা মুসা সরদার। আর মুসা সরদারের নেতৃত্বে মকরুল বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকে গারো পাহাড়ে পাহাড় কেটে পাথর -বালু ও বৃক্ষলুটপাট চালিয়ে আসছে। গত চার বছর ধরে গারো পাহাড়ে চলছে মকরুল বাহিনীর লুটপাটের রাজত্ব। এতে গারো পাহাড় ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পাশাপাশি গারো পাহাড় বৃক্ষশুন্য হয়ে পরেছে।
জানা গেছে, মকরুল বাহিনীতে রয়েছে স্থানীয় কয়েকজন সুবিধাভুগি সাংবাদিক। তারা প্রায় সময় মকরুল বাহিনীর ছাফাই গাওয়ার পাশাপশি প্রেস সচিবের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে।
অভিযোগ রয়েছে, মকরুল বাহিনীর দাপটে গারো পাহাড়ে বসবাসকারী মকরুল বাহিনীর সদস্যদের লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদতো দুরের কথা কেউ মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায় না। আবার কেউ মুখ খুললে তার বিরুদ্ধে দেয়া হয় মিথ্যা বন মামলা।
জানা গেছে, মকরুল বাহিনীর সুফল বাগান সৃজনে লুটপাটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে গিয়ে মিথ্যা বন মামলার শিকার হয়েছেন অনেকেই। সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক নিরিহ গ্রামবাসীর নামে দেয়া হয়েছে মামলা। বর্তমানে মকরুল বাহিনীর আতঙ্কে রয়েছে অভিযোগকারীরা। এ কারনে মকরুল বাহিনীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। এ সুবাদে মকরুল বাহিনী গত চার বছর ধরে চালিয়ে আসছে লুটপাটের রাজত্ব।
মকরুল বাহিনীর গারো পাহাড় কেটে পাথর বালু ও বৃক্ষ লুটের বিষয় নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করলে বিষঘটি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিকোচার হয় । পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গারো পাহাড় কেটে পাথর বালু লুটপাট বন্ধ করে দেন। কিন্তু গারো পাহাড়ে বৃক্ষলুটপাট বন্ধ হয়নি। আর এসব নিয়ে লেখালেখি করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেন মকরুল বাহিনী। ইতিমধ্যেই সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা বন মামলা দেয়ার হুমকিও দেন মকরুল বাহিনীর প্রধান মকরুল ইসলাম আকন্দ।
এ বিষয়ে মানব কন্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।হুমকি দিয়ে সাংবাদিকদের দমাতে না পেরে অবশেষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মকরুল বাহিনী।