// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ জুড়ীতে ২নং পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন গংদের নেতৃত্বে হামলায় রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ছায়াদ আলী (৪৫), ছায়াদের বড় ভাই আনসার আলী (৫৫), ছেলে জায়েদ হোসেন (২২), দেলোয়ার ওরফে জুনেদ হোসেন (২৩),সহ অন্যান্যরা। এর মধ্যে রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত আনসার আলী (৫৫) ও ছায়াদ আলী (৪৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছেনা। উক্ত ঘটনায় ২নং পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন (৪২), খালেদ হোসেন (৩৫), জাবেদ হোসেন (৩০), জামিল উদ্দিন (৪৫), ইকবাল আহমদ (৪২), তাকাদ আলী (৩০), হেলাল উদ্দিন (৫১), নাজিম উদ্দিন (৪০), আজিম উদ্দিন (৩৮), সাইফ মিয়া (২৭), ইমরান মিয়া (২৯), সফিক মিয়া (৫৮),জাইন উদ্দিন (৩৫), কামরুল ইসলাম (৩০), নোমান আহমদ (২৪), কাওছার আহমদ জসিম (৪৫), আরিফুল ইসলাম (২৩)সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০জনের বিরুদ্ধে ২নং পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের বড়ধামাই গ্রামের আনফর আলী বাদী হয়ে জুড়ী থানায় (মামলা নং- ০৮, তারিখ ঃ ২০/০৪/২০২৩ইং) মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে, ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষের মারুফ আহমদ, রায়হান আহমদ ও সাইদ আহমদ আহত হয়েছেন বলে দাবী তাদের। সুত্র জানায়- পার্শ্ববর্তী গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে একটি জমির মাটি বিক্রি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। দেলোয়ার ওরফে জুনেদ হোসেন-কে হেনস্তা করতে তাঁর বিরুদ্ধে গত ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে মোটরসাইকেল চুরির চেষ্টার অভিযোগ তোলে চেয়ারম্যান এর বাড়ীতে নিয়ে মারধর করা হয়ে। সংবাদপ্রাপ্ত হয়ে টহল পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এদিকে আটকে রাখার জের ধরে দিবাগত রাত দুইটার দিকে স্থানীয় নয়াবাজার এলাকায় লোকজন দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত আনসার আলী ও ছায়াদ আলীসহ তাদের স্বজনরা বলেন- চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন গংদের নেতৃত্বে প্রাণে হত্যার লক্ষ্যে দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও নিষিদ্ধ স্প্রে নিয়ে হামলা চালানো হয়। নিষিদ্ধ স্প্রে এর কারণে তিনিসহ অন্যান্যরা ঘঠনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগীগণ আরো বলেন- হামলাকারীগণ প্রভাবশালী এবং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। এ ব্যপারে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দিপস্কর ঘোষ বলেন- উক্ত মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চোরাই মোটর সাইকেল এর বিষয়ে তিনি অবগত নয় বলে জানান।