// আবু ইসহাক, সাঁথিয়া
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার হাটবাড়িয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক হৃদয় হোসেন কৃষি অফিসের সহায়তায় কেঁচোসারের উৎপাদন শুরু করেন। বছর না ঘুরতেই লাভের মুখ দেখছেন তিনি। সরকারি সহায়তা পেলে বাণিজ্যিক ভাবে কেঁচো সার উৎপাদন করতে চায় হৃদয় হোসেন।
সরেজমিন জানা যায়, সাঁথিযা উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া গ্রামের শহিদ আলীর ছেলে বেকার যুবক হৃদয় হোসেনের সাথে পরিচয় হয় হাটবাড়িয়া ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আঃ মান্নানের সাথে। মান্নান কেচোসার উৎপাদন, গুনাগন ও বাজারজাত সম্পর্কে জানালে চাষ করতে রাজি হয় হৃদয়। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভার্মিকম্পোষ্ট প্রযুক্তিতে মাত্র ১০ রিং ও কেচো প্রদান করা হয়। তা দিয়ে হৃদয় কেচোসার উৎপাদন শুরু করেন। লাভের মুখ দেখতে পেয়ে হৃদয় ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋৃণ নিয়ে নিজ উদ্যোগে আরো ৩০টি রিং ও আট কেজি কেঁচো ক্রয় করে সার উৎপাদন করেছেন। এ কাজে তার স্ত্রী ও মা সর্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছেন। বর্তমানে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকায় আয় করছেন বলে জানান হৃদয় হোসেন। সে আরো জানায় ড্রাগন চাষী, ফুল চাষী, বিভিন্ন নার্সারী, ফুলকপি, বাধা কপি, কচুর লতিসহ বিভিন্ন সবজি চাষী, লিচুর বাগান ও অনেক কৃষক কৃষি জমিতে দিতে কেচোসার নিচ্ছেন। প্রতি কেজি সার ১৪ টাকা থেকে ১৫টাকা দরে বিক্রি করছে। সরকারি পোষ্টপোষকতা পেলে হৃদয় বানিঝ্যিক ভাবে বাজার জাত করতে চায় ভার্মিকম্পোষ্ট (কেচোসার)। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আঃ মান্নান জানান সকল প্রকার জৈব সারের মধ্যে ভার্মিকম্পোষ্টে গুনাগুন বেশী থাকে। যার ফলে ভার্মিকম্পোষ্ট প্রয়োগের উৎপাদিত ফসল দেখতে আকর্ষনীয় হয়। কৃষককে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার ত্বরান্নিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা ফারুক হোসেন চৌধুরী বলেন, সরেজমিনে গিয়ে উদ্যোক্তা হৃদয় হোসেনকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন। কেচোসার বানিজ্যিক ভাবে বাজারজাত করতে উর্ধতন কর্তপক্ষের নিকট সহযোগিতা করতে সর্বদা চেষ্ট করছেন।