// সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বাস ও টিন দিয়ে বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন দুই পরিবারের অন্তত ২০ জন সদস্য। বার বার অনুরোধ করেও মিলছে না সমাধান। এ বিষয়ে সলঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানাজায়, রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার ঘুড়কা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া ভরমোহনী এলাকার সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কাশেম ও তার প্রতিবেশী মঙ্গল বসাকের পরিবার গৃহবন্দী জীবনযাপন করছেন।
প্রতিবেশী প্রভাবশালী হারু কবিরাজের মেয়েরা বকুল রানী, রিনা রানী ও দিপালী রানী সাথে আবুল কাশেম ও মঙ্গল বাসকদের বাড়ীর সিমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে (২৮ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে বাশ টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে দুটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কাসেম এর স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৬২) বাদি হয়ে সলঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্ত ভোগী জাহানারা খাতুন, ও মঙ্গল বসাক জানান, বাড়ির সিমানা নিয়েয়ে বিরোধের জেরে হারু কবিরাজের মেয়ে রিনা, দিপালী, বকুল পলাশ এসে বাসার সামনে হঠাৎ করেই টিন ও বাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে যায়। আমরা অনেক অনুরোধ করেছি আমাদের বাড়িতে প্রবেশেরর আর কোন রাস্তা নেই আপাতত বেড়া দিয়েন না কিন্তু তারা না শুনে উপরোন্ত আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে যায়।
জাহানারা খাতুন আরও বলেন আমার স্বামী একজন অসুস্থ্য মানুষ এলাকার অনেকেই তাদের অনুরোধ করেছে এভাবে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার কিন্তু তারা কারোর কথায় শুনতে নারাজ। সামনের অল্প পরিমান জায়গা চলাচলের জন্য দিতে আমাদের কাছে পনের লক্ষ্য টাকাও দাবি করেন।
আরেক ভুক্তভোগী মঙ্গল বসাক জানান, আমরা তাদের কাছ থেকেই জায়গা কিনে বাসা করে বসবাস করে আসছি এক সময় বাড়ির চারপাশ ফাঁকা থাকলেও এখন আশেপাশে বাড়িঘর ওঠে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সকালে হারু কবিরাজের মেয়েরা এসে টিন দিয়ে চার পাশ বেড়া দিয়ে যায়। এতে আমরা বাড়ি থেকে বেড় হতে পারছি না। এখানে বেড়া দেয়ায় প্রায় ২০থেকে ৩০ টি পরিবারের চলাচলের সমস্যা হবে। তাদের এ সমস্যার সমাধানে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই বলেন, মদক বিক্রেতা মৃত হারু কবিরাজের মেয়েরা এসে সকালে কোন কারন ছাড়াই বাশ টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে যায়, আমরা অনেকেই নিষেধ করেছি পরিত্যাক্ত যায়গা দিয়ে চলাচল করলে কি এমন ক্ষতি হবে বয়স্ক ও অসুস্থ্য মানুষ কিন্তু তারা কারোর কথা শুনে নি। মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া অমানবিক। সেই সাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা ও করেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে রিনা ও দীপালী জানান, আমাদের জায়গা আমরা বেড়া দিয়েছি অন্য পাশ দিয়ে খোলা আছে তারা সেখান দিয়ে চলাচল করুক।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, অভিযোগ দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই, অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।