এনামুল হক টগর
তুমি শিখিয়েছিলে জীবন এক মহৎ সংগ্রাম ও দেশপ্রেমের গভীরে সুষমবণ্টন নীতি।
যা পৃথিবীকে আলোকিত করে ও নতুন নির্মাণে আধুনিক পণ্য উৎপাদন স্বনির্ভর।
তাৎপর্যপূর্ণ জীবনের প্রজ্ঞায় আবর্তন আর বিবর্তনে কর্ম রূপান্তর হয় কারখানায় নিপুণ।
বাংলার সৌন্দর্যভরা মৃত্তিকায় তোমার বিনয় প্রেম আনে ফসলের গৌরব শোভা জীবন।
তোমার মস্তিষ্কের শুভ চিন্তা থেকে অধিকারের দাবিগুলো আনে জাতির স্বপ্ন আশা।
ভবিষ্যৎ স্বাধীন ভূখণ্ড বাংলাদেশ গড়ার সূচনায় তুমিই সম্মেলিত প্রাণের প্রত্যাশা।
মমতাময়ী জন্মভূমির ভালোবাসা তোমার সংগ্ৰাম সুবাস ছড়ায় সূর্য দীপ্ত কিরণ।
তাঁর সাথে চন্দ্র নক্ষত্র ও তারকাগুলোর তোমার প্রতিভাসে জেগে উঠে পুষ্প নন্দন।
বাসনার নতুন আগামী বাংলাদেশকে চেতনা দেয় আলোয় আলোয় বিশোধন।
পৃথিবীর উদ্যানে বসন্ত ফুলগুলো তোমাকে স্বাগত জানায় তুমি স্বাধীনতার মহানায়ক চঞ্চল অরুণ।
সমুজ্জ্বল দিনের স্বপ্নরা মুক্তিযুদ্ধের রূপ ধারণ করে তোমাকে ডাকে মহান শ্রমজীবী।
অনাগত সাম্যের নিপুণ চৈতন্যে বিদগ্ধ মাঝিরা তোমার গান গায় দেশপ্রেম গৌরব।
সদ্য কুঁড়িগুলো ফুল হয়ে ফুটে উঠে নতুন শস্যের সৌন্দর্যভরা তোমার দৃঢ ভাষণ দীপ্তকর।
তোমার অভিজ্ঞতায় উত্তরসূরীরা হয়তো পৌঁছে যাবে বিজ্ঞানের ধারায় আগামী পৃথিবীর।
যা থেকে সম্মান আর মর্যাদার গৌরবে সভ্যতার কল্যাণ ছড়াবে কর্মজীবী জাতি।
সূর্যালোকের জ্যোতির্ময় বিকিরণ থেকে মানবতার সম্মান ছড়াবে শুভ চেতনার প্রগতি।
বীজের অঙ্কুর থেকে শস্যের কাঁচা রং পরিপক্ক হবে জীবনের স্বপ্ন সুদূর-
তোমার অভিজ্ঞতায় বিজ্ঞ প্রাণগুলো মাথা তুলে দাঁড়াবে নব নব ফসলের মাঠে রূপ রস জন সুস্বাগতম!
কিন্তু তুমি চলে গেলে আর শত্রুরা ইতিহাস মুছে দিতে লাগলো দানবের যন্ত্রণায় ক্লান্ত দেশপ্রেম।
দুঃখ ও কষ্টগুলো জাতিকে বেদনাবিঁধুর করে তুললো অনাগত চেতনা গুলো বিফল।
তোমার আন্দোলন ও দাবীগুলো মানুষের বুকের গভীরে শ্রদ্ধায় নিরব হয়ে রইলো অনল।
তখন থেকেই দেশ জুড়ে শুধু মানবতার অগ্নি দহন যন্ত্রণা,
প্রতিনিয়ত দূর্নীতি সন্ত্রাস চুরি ডাকাতি লুটপাট জঙ্গিবাদ মাদক হানাহানি।
জাতিকে আস্তে আস্তে আঁকড়ে ধরলো বেদনা বিষণ্ণ ক্ষত বিক্ষত আঁধার,
দেশজুড়ে হাজারও জনতার দুঃখ কষ্ট ও বেদনার পরিতাপে জীবনগুলো হাহাকার।
এমন দূর্দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তোমাকে মনে পড়ে মহাজীবন দেশপ্রেমিক তুমি মহান।
যখন দেখি দুঃশাসন অপরাধীর জুলুমে রক্তাক্ত মানুষ পথে পথে বিধস্ত অবিচারে অসহায় বিপন্ন।
আরও দেখি স্বাধীনতা বিরোধী মুখোশধারীদের গড়ীতে জাতির পতাকা উড়ে নির্লজ্জ অশনি বিষাদ।
মসজিদ মন্দির গোরস্থান ও গরীবদের অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে শুধু বিবাদ।
এ-যেন আর্দশহীন সততাহীন মানবতা বঞ্চিত এক ক্লান্ত কষ্টের দিন ও ইতিহাস।
বিত্তবানরা এখনো হানাহানি করে খুনোখুনি করে অবিচার ও ব্যভিচারে ভয়ংকর সন্ত্রাস।
যৌনতার অবক্ষয়ে নেশাগ্রস্থ যুবকের সংসার ভাঙে ব্যর্থ জীবনগুলো কাঁদে অঙ্গার।
সময় যেন প্রাণের চৈতন্যকে হারিয়ে ফেলে যন্ত্রণায় দাউ দাউ সমাজ বিষে জর্জর।
আতঙ্ক দূর্ভিক্ষভরা দুটি চোখ করুণ আর্তনাদে কাঁদে দুঃখ ও কষ্টের জীবন আঁধার।
দীর্ঘ যন্ত্রণা আর দীর্ঘ বেদনা থেকে দেশ যেন ক্ষত বিক্ষত দিশেহারা।
বকুল ঝরে যায় শেফালি ঝরে যায় টগর ঝরে যায় ক্লান্ত জীবন অনাহারী।
শুধু রোষ আর উন্মুত্ততার আঘাতে দানবরা রক্ত চোষে খায় আহত শরীর ক্লান্ত।
জীবনের ভেতর বিদ্বেষ কাঁটাগুলো পরিতাপে জ্বলে পোড়ে নিষ্ঠুর সময় অশান্ত !
জাতির মগজ যেন অযত্নে ও আঁধারে আঁধারে নিরব ব্যথার চিত্তে বিষণ্ণ!
অক্ষম প্রতিবাদহীন নিরুপায় দিন তবু দেশপ্রেমিকরা অতন্দ্র পূর্বাভাস বিপ্লব আসন্ন।
অশুভ লোকনিন্দার ধিক্কার ও বেদনার আঁধার ভেঙে একদিন উত্তরসূরীরা জেগে উঠবে সংস্কার নতুন।
অকাল বলিদান অশনি সংকেতে কাঁদে আগামী তবুও প্রিয়তমার চাষাবাদ দক্ষ নিপুণ।
স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকরা আবার নিষ্ঠুর নির্মম মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় কঠিন ষড়যন্ত্র।
জাতিকে আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করতে চায় নির্মম নির্দয় শত্রুরা যত।
এমন সময় বঙ্গবন্ধু তোমাকে মনে পড়ে রাজপথের মিছিলে মিছিলে বিদগ্ধ চেতনায়।
তুমি ফিরে এসো বঙ্গবন্ধু,বাংলার সমুদ্রকে বহমান করো জনতার পরিচ্ছন্ন সুন্দর বিজয়।
তোমার ন্যায়পরায়ণ অভিযান থেকে বৈচিত্র্যময় জ্ঞান জেগে উঠুক অভিজ্ঞ আলোর পরিচয়।
তোমার দেশপ্রেম থেকে নতুন ভ্রুন অঙ্কুরিত হোক স্বচ্ছ আলোকিত জন্মভূমির ভালোবাসা সমুদোয়।
আমাদের ন্যায়পরায়ণ অধিকার যেন দূর্যোগ পাড়ি দিতে পারে অশনি দেয়াল ভাঙা সাম্য বিজয়।
অশ্রু বিরহের যন্ত্রণাকে ফুলের সাথে আলিঙ্গনে করাতে পারে আগামী ক্ষুধামুক্ত সুদিন সঞ্জয়।
জীবন কর্মে জাতি যেন আশার সংসার বাঁধতে পারে সুন্দর নিপুণ আগামীর।
কিষাণ রূপে উষর জমিতে যেন নতুন ফসল ফলায় আমাদের বংশধর চাষাবাদ শান্তির।
অন্তরঙ্গ বাসনার আলোয় আমরা যেন পাই দৃঢ় দীপ্ত নতুন সূর্যের সোনালী সকাল।
মহা-জীবনের সাথে এক মহামিলনে আমরা যেন মহাচৈতন্যের আকাঙ্ক্ষা হই নির্মল।
তুমি ফিরে এসো আর এই মাটির সানুদেশে চেতনা দাও নতুন আলোতে শস্য উদয়!
শ্রমজীবী আর কর্মজীবী শ্রমিকের শ্লোগানে তুমি বাঁশি বাজাও পুনরায় রাখাল রাজার নতুন সংগ্রাম!
তোমার অগ্নি বাঁশিতে বাংলার মৃত্তিকা দৃঢ় দীপ্ত হোক নতুন চেতনার সুষম বন্টন জীবন কর্ম।
সজাগ প্রজ্ঞায় অবিচল চারাগাছগুলো বেড়ে উঠুক আবাদের খামারে বিজ্ঞ অভিজ্ঞতায়।
শিল্পের নগরে নগরে রৌদ্রময় উত্তাপ ধ্বনিত হোক নতুন পণ্য আবিষ্কার বার বার বিজয়।
মহৎ ভালোবাসায থেকে জীবনের পরিশুদ্ধ দরজাগুলো খুলে যাক ধন্য ধন্য জাতির পিতা।
আত্মার পাখি অনুরাগে সুবাস ছড়াক মহৎ সভ্যতার দেশপ্রেমে সুন্দর জীবন নীতি।
তোমার সততার রাজ মুকুট জাতির চোখে উদ্ভাসিত হোক মাতৃভূমির স্নেহ মমতা!
কে বলে তুমি একা,কে বলে তুমি দলে,কে বলে তুমি নেই, তুমি জয় বাংলা বিশ্বময়।
তুমি সমগ্র বাংলাদেশের,তুমি সমগ্র স্বাধীনতার অখণ্ড ভূমির।
তোমার অভিজ্ঞতায় ও অমৃত দেশপ্রেম সুধায় জাতি জাগ্রত ভালোবাসা প্রজ্ঞাময় সংস্কার।
তুমি স্বাধীনতার মহানায়ক,তুমি জাতির পিতা তুমি সভ্যতার আর্দশ পরিচয়।
তুমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,তুমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান দৃঢ় দীপ্ত জ্ঞানে উদয়।
তোমাকে মনে পড়ে শুধু তোমাকেই মনে পড়ে বাংলার মৃত্তিকায় অনাদি চেতনা অক্ষয়।