সাঁথিয়ায় এক বিদ্যালয়ের ছাত্রের অন্য বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি!

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলার গৌড়ীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে না পড়েও উপবৃত্তি সুযোগ পাচ্ছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের ছেলে মেয়ে। কোন প্রকার রেজিলেশন ও অনুমোদন না নিয়ে বেঞ্চ ও মালামাল বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গৌড়ীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন মনিরা পারভীন। তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছেলে মেজবাউল হকের উপবৃত্তি করেছেন। যা ২০২১/২২ সাল থেকে উত্তোলন করছেন। অথচ তার ছেলে মেজবাউল হক সাঁথিয়া পৌর সদরের বোয়ালমারী মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। অপর দিকে ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তামান্না খাতুনের মেয়ে সায়মা আফরোজ পড়েন উপজেলা পরিষদ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণিতে। সে উপবৃত্তি নিচ্ছে তার মায়ের গৌড়ীগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ২০২২ সালের উপবৃত্তির তালিকায় তার নাম রয়েছে। অথচ সে ২০২২ সাল থেকেই উপজেলা পরিষদ বিদ্যালয়ের সে ছাত্রী। তারা ছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামীমা সুলতানার ৪র্থ শ্রেশির মেয়ে আয়শা সুলতানার উপবৃত্তি রয়েছে। আয়শা সুলতানা গৌড়ীগ্রাম মাদরাসার ছাত্রী।
এছাড়ায় বিদ্যায়লটির প্রধান শিক্ষক মনিরা পারভীনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বেঞ্চ ও মালামাল বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে। তিনি সরকারি এক ভ্যান বেঞ্চ কোন প্রকার অনুমোদন ও রেজিলেশন ছাড়াই বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। বেঞ্চ ক্রয়কারী হকার বেড়া উপজেলার চাকলা গ্রামের মমিন(৩২) জানান, ৫মন বেঞ্চ ও কিছু মালামাল গৌড়ীগ্রাম স্কুলের শিক্ষকরা আমার নিকট বিক্রয় করেছে। ৫৭ টাকা কেজি দরে লোহার বেঞ্চ আমি ক্রয় করেছি।
গৌড়ীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরা পারভীন জানান, উপবৃত্তির তালিকা থেকে আমাদের সন্তানদের নাম বাদ দেবার চেষ্টা করলে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আ: মান্নান তা নিষেধ করায় তা বাদ দেয়া হয়নি। বেঞ্চ বিক্রয়ের বিষয়ে তিনি জানান উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আ: মান্নানের নিকট বলেই বেঞ্চ বিক্রয় করেছি।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আ: মান্নান জানান, গৌড়ীগ্রাম বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি ও বেঞ্চ বিক্রয় সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রয় ও এক স্কুলের ছাত্রের অন্য স্কুল থেকে উপবৃত্তির কোন সুযোগ নেই। আমার নিকট অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিব।