নাটোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা॥ পৌর মেয়রসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রকাশে দিবালোকে হেলাল সরদার (৩৩) নামে এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ মোল্লাকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহতের মা হেনা বেগম বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরর পর রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৌরমেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিহত হেলাল ও আহত শিশির পৌরসভার খামারনাচকৈড় মহল্লার মৃত সাখাওয়াত হোসেন সরদারের ছেলে। নিহত হেলাল সরদারের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন চাঁচকৈড় কাচারীপাড়া মহল্লার মোতালেব হোসেনের ছেলে তুহিন (২২), একই মহল্লার আব্দুর রশিদের ছেলে আকাশ হোসেন (২৩) এবং চাঁচকৈড় বাজার পাড়া জিল্লুর জমাদারের ছেলে তোহা (২০)।

নিহত হেলাল সরদারের মা জানান, উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের বিন্ন্যাবাড়ী বাজারের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরপর থেকেই হেলাল’রা গুরুদাসপুর বাজারে আসছিলেন না। সম্প্রতি পৌরমেয়র বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলাল ও শিশির গুরুদাসপুর বাজারে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। তিনি এর বিচার দাবি করেন। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। বুধবার বিকেল ৫টার সময় পারিবারিক কবরস্থানে নিহত হেলাল সরদারের দাফন সম্পন্ন হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী জানান, আগামীতে আমি সংসদ নির্বাচন করবো। যার জন্য আমাকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসাতে আমার প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করিয়েছেন। আমি এই ঘটনার কিছুই জানিনা।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে নিহতের মা পৌরমেয়রসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে গুরুদাসপুর পৌর শহরের পরিবহণ শ্রমিক অফিসের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে হেলাল সরদার ও তার ভাই শিশির সরদারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে হেলাল সরদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে শিশিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।