কোভিডকালীন স্বাস্থ্যসেবায় চ্যালেঞ্জ ও অর্জন বিষয়ে বগুড়ায় মতবিনিময় সভা

// সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়ায় কোভিড-১৯ কালীন স্বাস্থ্যসেবায় চ্যালেঞ্জ, অর্জন এবং সার্বিক স্বাস্থ্যসেবায় সুশাসন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় ও সনাক বগুড়ার আয়োজনে রবিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সামির হোসেন মিশুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে আবারো বাঙালি এই করোনাকালীন সময়েই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল যা যুগের পর যুগ মনে রাখবে সাধারণ মানুষ। করোনাকালীন সেই ভয়াবহ দিন আমরা আজও ভুলিনি। সেদিনগুলোতে যারা নিজের জীবনের কথা না ভেবে দিন রাত মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে গেছেন, মানুষকে খাবার দিয়ে গেছেন, সেবামূলক কার্যক্রমে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন তারা সত্যি এক একজন যোদ্ধা। সভায় জেলা প্রশাসক স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীদের তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও বগুড়ায় যেসব বিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্যে পৃথক পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নেই তাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতে দ্রুততম সময়ে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সাথে সমন্বয় করে নির্মাণের ঘোষণা দেন এই কর্মকর্তা।
সাংবাদিক সমুদ্র হকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম পিপিএম করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের ইতিবাচক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন সারাবিশ্বে যখন করোনা মহামারি আকার ধারণ করেছিল যেখানে অনেক উন্নত দেশ অসহায় হয়ে পড়েছিল ঠিক সেসময়ও কিন্তু আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবিভাগের নিবেদিত কর্মীরাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সেচ্ছাসেবীরা ঝাঁপিয়ে পরেছিল করোনা মোকাবেলার লড়াইয়ে যেখানে শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশ করোনার তীব্রতাকে জয় করতে সক্ষম হয়েছিল।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ শফিউল আজম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ও টিআইবি বগুড়ার ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর কমল কৃষ্ণ সাহা।
মতবিনিময় সভায় করোনাকালীন সময়ে সদর উপজেলার যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং সমাজসেবা মূলক সংগঠনগুলো নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে গেছেন তাদের সম্মাননা স্মারক প্রদাণ করা হয়। ৪৫২ টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে এই সম্মাননা পর্যায়ক্রমে প্রদান করা হচ্ছে মর্মে জানান ডা: সামির হোসেন মিশু। শেষে এক মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি হয়।