ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
‘ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া দেশের উন্নয়নের জন্য বিএনপি’র কোন পরিকল্পনা নেই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি গণতন্ত্র নেই বলে গলাবাজি করে। ক্ষমতায় গেলে বিএনপি দেশের উন্নয়নে কি কাজ করবে সে পরিকল্পনার কথা বলে না। আসলে তাদের কোন পরিকল্পনাই নেই। যেনতেন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া আর লুটপাঠ করাই তাদের একমাত্র পরিকল্পনা। বৃহস্পতিবার ( ২৩ ফেব্রুয়ারী) পশ্চিম রেলের ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ উদ্বোধন এবং আধুনিক পাবলিক টয়লেটের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন একথা বলেন।
মন্ত্রী সুজন আরও বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সরকার আমলে রেলওয়েকে বেসরকারি করণের জন্য সকল উদ্যোগ গ্রহন করেছিল। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ১৯৯১ সালে দশ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী রেল থেকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। রেলের আটাত্তর হাজার কর্মী থেকে মাত্র পঁচিশ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে রেলওয়েকে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়ে প্রত্যেক জেলায় রেলপথ স্থাপনের মহাপরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। সারা দেশে রেলকে আধুনিকীয়ান করা হচ্ছে। দেশের সকল রেলপথকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (অ:দা:) কুদরত-ই- খুদা। মন্ত্রী পত্নি শাম্মি আকতার ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পাবনা-৪ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান ও ওয়টিারএইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর পার্থ হেফাজ সেখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ। সঞ্চালনা করেন বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগের আওতায় সবচাইতে সর্ববৃহৎ ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন। এ স্টেশনে ব্রিটিশ আমলে ১৯২৩ সালে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। শতবর্ষের ফুট ওভারব্রিজটি পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ও জড়াজীর্ণ হওয়ায় সরকারের দেশীয় অর্থায়নে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভারব্রিজ পুনঃনির্মাণ করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সেতু প্রকৌশলী বিভাগ। ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটির পুনঃনির্মাণ কাজ শেষ হয়।
ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী পকৌশলী (ব্রিজ) হাসান আলী জানান, এখন যে ফুট ওভারব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে এটা দৃষ্টিনন্দন। আরসিসি পাটাতনের পরিবর্তে ফুট ওভারব্রিজে উপরের অংশে চেকার প্লেট ব্যবহার করেছি। আগে যে ¯øাব ব্যবহার করতাম, তা ভেঙ্গে মানুষের চলাচল অনেকটা বাধাগ্রস্থ হতো। সেটি আর হবে না। ব্রিজটি চালু হওয়ার পর মানুষের যাতাযাত নিরাপদ ও আরামদায়ক হবে। স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনযাত্রী ও পথচারী চলাফেরা করতে পারবে।