// সঞ্জু রায়, বগুড়া: আলোচিত ইউটিউবার ও বগুড়ার উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ভোটের ফলাফল খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের ফলাফল বদলানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে বৃহস্পতিবার টেলিফোনে এ নির্দেশ দেন সিইসি।
দুপুরে নির্দেশের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম। পরে সেদিন রাতে সংবাদ সম্মেলনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
গতকাল বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
হিরো আলম এ বিষয়ে বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩৯ টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এরপরের ১০ টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলো কতোগুলো ভোট পাইলাম তা জানানো হলো না আমাকে। তিনি আরও বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলে জায়গায়ে গণ্ডগোল করেছেন। ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। লাহেরি পাড়ায় আমার এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধই ছিল না। তাকে পাশ করানো হয়েছে।’
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, হিরো আলমের ভোটের ফলাফল নিয়ে সিইসি ফোন দিয়েছেন। তিনি ফলাফল খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। এ জন্য আমরা বগুড়া-৪ আসনের সব কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ইভিএম মেশিনে পড়া ভোটের হিসাব সঠিক আছে। আমরা হিরো আলমকেও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের কপি দিয়েছি।