// সঞ্জু রায়, বগুড়া: জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে বগুড়ায় সদর-৬ ও ৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) দুই আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৪ জন প্রার্থীর। যেখানে বগুড়া সদরে জয়ী প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ বাদ দিয়ে বাকি ৯ জন প্রার্থী হারিয়েছে জামানত যাদের মাঝে রয়েছে সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর। সদর আসনে মোট ৯১ হাজার ৭৪২ ভোটের মধ্যে ১১ হাজার ৪৬৮ না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জাতীয় পার্টির ওমরসহ বগুড়া-৬ আসনে যারা জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন, আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম, বিএনপির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদল, রাকিব হাসান, জাসদের প্রার্থী ইমদাদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা মাছুদার রহমান হেলাল, খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির ফয়সাল বিন শফিক ও গণফ্রন্টের আফজাল হোসেন।
এদিকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। সেদিক থেকে কাহালু ও নন্দীগ্রাম নিয়ে গঠিত বগুড়া-৪ আসনে এই উপ-নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪। কিন্তু ওই আসনে মোট ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই সেই ভোট পাননি। ফলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। বগুড়া-৪ আসনে জামানত হারিয়েছেন যারা তারা হলেন, শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক, জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরকার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের তাজ উদ্দিন মণ্ডল, গোলাম মোস্তফা এবং ইলিয়াস আলী।
বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, যারা জামানত হারিয়েছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। আলোচিত হিরো আলমের বিষয়ে তিনি বলেন আশরাফুল আলম ভোটের সংখ্যায় শুধু সদরে তার জামানত হারিয়েছেন কিন্তু বগুড়া-৪ আসনে কিন্তু তিনি ২য় সর্বোচ্চ ভোট অর্জনকারী প্রার্থী। ভোটার উপস্থিতি কম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট আয়োজন করা সেখানে ভোটারদের কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব কিন্তু প্রার্থীদেরকেই পালন করতে হয়। তিনি আরো বলেন, সার্বিকভাবে বগুড়ায় দুই আসনে অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।