চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
বছরের শুরুতে পাবনার চাটমোহরের বইয়ের দোকান গুলোতে দেদার বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর সহায়ক বই। ইতিমধ্যে প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সহায়ক বই নামে আসা নোট বইয়ে ভরে গেছে বইয়ের দোকানগুলো। তবে তা দামে খুব চড়া। এসব সহায়ক বই কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
বইয়ের দোকান গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাটমোহরে সাধারণত পাঞ্জেরী, ফুলকুড়ি ও লেকচার সহায়ক বই বেশি চলছে। এক এক এলাকায় এক এক প্রকাশনীর বই বেশি চলে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। পাঞ্জেরী কোম্পানীর সহায়ক বই প্রতি সেট, দ্বিতীয় শ্রেণীর ২৩০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণীর ৫৩০ টাকা, চতুর্থ শ্রেণীর ৬৩০ টাকা, পঞ্চম শ্রেণীর ৮৫০ টাকা, অষ্টম শ্রেণীর ১,৪০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকুড়ির দ্বিতীয় শ্রেণীর সহায়ক বই ১৯০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণীর ৪৬০ টাকা এবং চতুর্থ শ্রেণীর প্রতিসেট বই বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। লেকচার কোম্পানীর দ্বিতীয় শ্রেণীর সহায়ক বইয়ের সেট ২৫০ টাকায়, তৃতীয় শ্রেণীর সেট ৫৩০ টাকায়, চতুর্থ শ্রেণীর সেট ৬০০ টাকায় পঞ্চম শ্রেণীর সেট ১৪৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাধ্যমিকের কিছু সহায়ক বই বের হলেও পুরো সেট এখনো বের হয়নি। মানবিক বিভাগের সহায়ক প্রতিসেট বইয়ের দাম পরবে প্রায় ৪ হাজার টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি সেট সহায়ক বইয়ের দাম পরবে প্রায় ৫ হাজার টাকা।
উপজেলার বোয়াইলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বকুল হোসেন জানান, সহায়ক বই নামে বাজারে আসা এ বইগুলোর মূলত কোন দরকারই নেই। ছাত্র ছাত্রীরা সহায়ক বই কিনতে আগ্রহী হওয়ায় অভিভাবকরা অনেকটা চাপে পরে এ বইগুলো কিনে দেন। এ বই গুলোর দাম অত্যাধিক হওয়ায় অভিভাবকরা তা কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
তৃতীয় শ্রেণীর একজন ছাত্রীর অভিভাবক নূরুল ইসলাম জানান, ছেলে মেয়েরা সহায়ক বই কিনে চায়। কিন্তু এসব বইয়ের দাম বেশি হওয়ায় অনেক অভিভাবকের পক্ষে তা কিনে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দৈনন্দিন ব্যয় বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সন্তানকে লেখা পড়া করানোই কঠিন হয়ে পরেছে। চাটমোহর পৌর সদরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার অপর অভিভাবক মুদী দোকানী ফিরোজ আলম জানান, সরকার বিনা মূল্যে পাঠ্য বই দিলেও সহায়ক বই নামের এ নোট বই কিনতে হচ্ছে।
চাটমোহর পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, সহায়ক এ বই গুলো বিক্রি করে বিক্রেতারা শতকরা ১০ থেকে ১২ টাকা কমিশন পান। বইগুলোর গায়ে মুদ্রিত মূল্যে বিক্রি করতে হয় তাদের।