// কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলায় যমুনার চরাঞ্চলে জেগে উঠেছে বালুময় ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু কেটে বিক্রি করা বন্ধ হচ্ছেনা। এসব ফসলি জমির মালিকদের জিম্মি করে জেগে ওঠা জমিতে ভেকু বসিয়ে দিন-রাত অবাধে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে বালু কেটে দেদারছে বিক্রি করছে ভুঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম খোকা। ফলে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। রহস্যজনক কারণে এ ব্যপারে প্রশাসনের পক্ষথেকে কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছেনা।
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসন মাঝে-মধ্যে বালু কাটা বন্ধে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও পরক্ষনেই আবার শুরু হয় বালু কেটে বিক্রির মহাযজ্ঞ। এই অপরিকল্পিত বালু কাটার ফলে বর্ষাকালে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এতে প্রতি বছর বিলীন হয় ফসলি জমি, বসতভিটা, ঘরবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, সড়ক, স্কুলসহ নানা স্থাপনা। সেই সময় ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্র্ড জিওব্যাগ ফেললেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে মাটি কেটে বিক্রির কারণে হুমকির মুখে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর সড়কের গোবিন্দাসী কুকরাইদ পর্যন্ত সেতু রক্ষা বাঁধ, বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস গাইড বাঁধ ও ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়ক।
বুুধবার(২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকায় যমুনায় কয়েক একর চর জেগে ওঠেছে। কৃষক সেই জেগে ওঠা চরে বাদাম, তিলসহ নানা ফসল রোপন করছে। সেই ফসলী জমিতে জোরপুর্বক ৩ টি ভেকু বসিয়ে দেদারছে মাটি কাটছে বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম খোকা ও তার ভাতিজা বাবু। খোকা বিএনপি সমর্থন করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আাঁতাত করে এ বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এলাকায় তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
জিগাতলা এলাকার ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিন, আকবর মিয়া, নুরে আলমসহ অনেকেই জানান, যমুনায় জেগে ওঠা চরে আমরা নানান ফসল আবাদ করে নিজেদের চাহিদা মিটাচ্ছি। সেই ফসলী জমির মধ্যে ভেকু বসিয়ে জোরপুর্বক মাটি কাটছে খোকা এবং তার সহযোগিরা। এ কাজের প্রতিবাদ করলে মারপিটসহ মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জমির মালিক জানান, কালা খোকা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আঁতাত করে এ মাটি কেটে বিক্রি করছে।
বালু ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম খোকার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি ময়মনসিংহ আছেন। এখন কথা বলার সময় নেই বলে লাইন কেটে দেন।
ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, ইতোপুর্বে এই অবৈধ বালুঘাটে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।