নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মো.আজিজ (৬৩) নামের এক বৃদ্ধের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ হয়েছে। সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই দন্ডাদেশ দেন। দন্ডিত মো.আজিজ নাটোরের সিংড়া উপজেলার সোয়াইর গ্রামের বাসিন্দা।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল সূত্রে জানা যায়,সোমবার স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য ছিল। মামলার আসামি মো.আজিজ আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে আদালত আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন। একইসাথে আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা দেন। সাজা পরোয়ানাবলে আসামি যে তারিখে গ্রেপ্তার হবেন অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন সেই তারিখ থেকে দন্ড কার্যকর হবে। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে অর্থদন্ডের টাকা আদায় করে ভূক্তভোগী বাদিকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেয়ার নির্দেশও দেন আদালত। দন্ডাদেশের বিষয়টি ট্রাইবুন্যালের পেশকার সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়,সিংড়া উপজেলার স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী সন্তানদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ দুপুরে সন্তানদের অনুপস্থিতিতে আসামি মো.আজিজ ওই নারীর শয়নঘরে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই নারীর ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে এসে আসামিকে হাতেনাতে আটক করেন। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় আসামির স্বজনরা সেখানে গিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারী সিংড়া থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা গ্রহণ করেননি। ঘটনার পাঁচদিন পর ১৮ মার্চ ওই নারী নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন। মামলাটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদ তদন্ত করে ট্রাইবুন্যালে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা আসায় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা হয়। পরে আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক হয়।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান বলেন,আসামি বিচারমলে পলাতক থাকায় আদালত সাক্ষীদের জবানবন্দির ভিত্তিতে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ড দিয়েছেন। এ রায়ে বাদি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।