// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ যৌতুক লোভী স্বামী কয়েছ মিয়াসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করলেন রিমা আক্তার এর মা সারি বেগম ও তার ভুক্তভোগী পরিবার। যৌতুক হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় রিমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবী পরিবারের। তিনি আরো বলেন- সুবিচার পাব কী না জানিনা। তাই আমি পুলিশের উধর্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষন করি যেন যৌতুক লোভী স্বামীসহ মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি প্রদান করা হয়। জানা গেছে- জুড়ী উপজেলার ৬নং সাগরনাল ইউপির দক্ষিণ সাগরনাল নিবাসী মোঃ আব্দুল কাদির (ইঞ্জিনিয়ার) এর ২নং পুত্র গাড়ী চালক কয়েছ মিয়া (২৫) এর সাথে পারিবারিক ভাবে আশ্বিন মাসের ১ তারিখ ( ঘটনার ৪ মাস পূর্বে) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যুগীমুরা গ্রামের বাসিন্দা রইছ আলীর মেয়ে রিমা আক্তার (১৯) এর সাথে। স্বামী কয়েছ চট্টগ্রামে থেকে গাড়ী চালায়। বিয়ের পর থেকেই সে লাইটেস গাড়ী কিনতে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল তার শশুর বাড়ীতে। এ টাকার জন্য সে রিমাকে বিভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ ও মারপিট করতো। মারপিটসহ নির্যাতনের এ ঘটনাটি রিমা তার পিত্রালয়ে খুলে বললে কয়েছে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কয়েছ চট্টগ্রাম থেকে বাড়ী এসে রিমাকে পুনরায় টাকার জন্য মানষিক চাপ ও শারিরিক নির্যাতন করতে থাকে। সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারী সোমবার একই ভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। রিমা সকল ঘটনা তার মা সারি বেগমকে অবগত করে। ঐদিন দুপুর প্রায় ১২টার দিকে কয়েছ এর ছোট ভাই জাবেদ ফোন করে বলে রিমা ঘরে ফাঁস লেগে মারা গেছে। সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে জুড়ী থানার পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রিমার স্বামী কয়েছ মিয়াকেও আটক করে পুলিশ। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কয়েছ জেলা কারাগারে আটক রয়েছে। সারি বেগম আরো অভিযোগ করে বলেন- জুড়ী থানা পুলিশের কোন সহযোগীতা পাচ্ছি না। মারধর করে ওর শশুরবাড়ীর লোকজনের সহযোগিতায় রিমাকে গলাটিপে হত্যা করে ঘরের চালের টাই ও মারুলের ওড়না পেচিয়ে (যাহা ছবিতে দৃশ্যমান ) ঝুলিয়ে রাখে এবং কয়েছ আহমদ ফটো তুলতে থাকে। জুড়ী থানার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এজাহারের কপি চাইলে আমাকে কপি দেন নাই। হাতে রাখা আমার ব্যক্তিগত এন্ড্রয়েড মোবাইল (যাহার সিম নাম্বার:০১৭৪৯৭১৯৯৬২) নিয়ে নেন। এ বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে আজ ১৮ জানুয়ারী মুঠোফোনে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- এ ঘটনায় নিহত রিমার স্বামী কয়েছে ও তার বাবা মোঃ আবদুল কাদির এর বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা (নং- ০২, তারিখ ঃ ০৯/০১/২৩) দায়ের করা হয়েছে। কয়েছে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।