// সাঁথিয়া প্রতিনিধি ঃ বেড়া পুলিশ উপজেলার মৈত্রবাধা গ্রাম থেকে সুস্মিতা খাতুন (২০) নামের এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ তার শয়ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে বেড়া পৌর এলাকার মৈত্রবাধা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে এ মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
এদিন সকালে সুস্মিতাকে তার প্রেমিক আশিক তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। মারধরের পরই রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সু্স্িমতার সহপাঠী ও পরিবারের লোকজন।
নিহত সুস্মিতা মৈত্রবাধা এলাকার চায়ের দোকানি জাইদুল হোসেনের মেয়ে এবং বেড়া সরকারি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আর অভিযুক্ত একই কলেজের ছাত্র আশিক হোসেন (২০) সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মোহাম্মদ মিন্টু’র ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আশিকের সঙ্গে সুস্মিতা প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। আজকে (মঙ্গলবার) কলেজ যাওয়ার পথে প্রেমিক আশিক সুস্মিতাকে জোর করে রিকশায় তুলে অন্যত্রে নিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় সুস্মিতাকে কলেজের সামনে নিয়ে আসে প্রেমিক আশিক। এসময় সহপাঠীরা সুস্মিতাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়ি পৌঁছানোর পরপরই ঘরের দরজা বন্ধ করেন দেয় সুস্মিতা। পরে অনেকক্ষণ তার সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সহপাঠী জানান, সুস্মিতা কিছুদিন ধরে আশিককে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। নানা সময়ে আশিককে নিয়ে ভয়ের মধ্যে থাকতো সুস্মিতা। রক্তাক্ত অবস্থায় যখন কলেজের সামনে আশিক সুস্মিতাকে নামিয়ে দিয়ে যায়; তখন সুস্মিতা জানিয়েছিল যে- আশিক তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান,‘আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। তবে রাত ১০ টায এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি এমনকি কাওকে আটক করাও হয়নি’। ময়নাতদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।