টাঙ্গাইলের আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার দুই দিনের রিমান্ডে

কামরুল হাসাস, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। সোমবার(২ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(ঘাটাইল-বাসাইল) আমলী আদালতের বিচারক ফারজানা হাসনাত দুই পক্ষের শুনানী শেষে ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান, সোমবার সকালে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে হেকমত সিকদারকে আদালতে আনা হয়। রিমান্ড মঞ্জুরের পর তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সিআইডি’র সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিবে।
টাঙ্গাইল সিআইডি’র পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান আকন্দ জানান, তারা সরেজমিনে ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত শেষে রোববার(১ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে হেকমত সিকদারকে গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করেন। সোমবার দুই পক্ষের শুনানী শেষে আমলী আদালতের বিচারক তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রকাশ, ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ(বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের আগের রাতে সোনামুড়ি গুপ্ত বৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী হেকমত সিকদারের কর্মীরা ব্যালট পেপারে সিল মারছে এমন খবরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারের কর্মী-সমর্থকরা ওই কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় স্কুল ঘরের ভেতর থেকে হামলাকারীদের উপর গুলি চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের গুলিতে গুপ্ত বৃন্দাবন গ্রামের নেছার আলীর ছেলে যুবদল নেতা মালেক মিয়া(৪৫) নিহত হন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলাটি প্রথমে পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে ওই বছরের ২ এপ্রিল নিহত যুবদল নেতা মালেক মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলাটি সিআইডি  তদন্ত করছে।