নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ার ভালুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়ন নির্বাচনে এ ঘটনা ঘটে। এতে অজ্ঞাত হেলমেট বাহিনীর রামদার কোপে এক সাংবাদিকসহ চার ভোটার আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, সংবাদকর্মী ছদরুল ইসলাম, ভোটার আলাউদ্দীন, ফকরুল ইসলাম, আবু তাহের ও জামাল হোসেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত আলাউদ্দীন নামের একজন ভোটার বলেন, ‘ধোকড়াকুল কেন্দ্রে কাউকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অজ্ঞাত লোকজন রাস্তা থেকে ভোটারদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। পরে এ বিষয় আমরা চারজন ব্যক্তি প্রতিবাদ করলে ওই লোকজন আমাদের কুপিয়ে আহত করেছেন। তাঁরা হেলমেট পরিহিত ছিলেন। অনলাইন সাংবাদিক ছদরুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় ভোটারদের আসতে বাধা ও মারধরের ছবি তুলতে গেলে হেলমেট পরিহিত ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি এসে আমাকে বাধা দেয়। এ সময় একজন রামদা দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ভালুকগাছি ইউপির স্বতন্ত্রপ্রার্থী একরামুল হক বলেন,ভোর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর লোকজন বুথে মধ্যে প্রভাব খাটাচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তা ও মোড়গুলোতে হেলমেট পড়ে কিছু লোকজন অবস্থান করছেন। তাঁরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোটারদের বাধা দিচ্ছেন। তেলিপাড়া, এসআরজি, ফুলবাড়ি, নন্দনপুরসহ পাঁচটি ভোটকেন্দ্র দখল নিয়েছে আওয়ামী লীগের সমর্থিত লোকজন। ভোটাররা কেন্দ্রে আসলেও তাঁরা ভয় দেখিয়ে পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। তবে, জিল্লুর রহমান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তার লোকজনকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছেন একরামুলের লোকজন। বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে তারা হামলা করছে মারপিট করছে সাধারণ ভোটারদের। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়টি তদারকি করছি। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, সকালের দিকে কোন কোন এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা ছিলো। ধোকড়াকুল এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এটা ভোটকেন্দ্রের বাইরে। ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। সবখানে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে।