কাজের সুবাদে আপনি অন্য শহরে যেতে পারেন বা আপনার মনের মানুষও। সেটা হতে পারে অল্প সময়ের জন্য, আবার দু’এক বছরের জন্যেও। কিছু টিপস মেনে চললে আপনাদের সম্পর্ক থাকবে অটুট।
স্বচ্ছতাঃ দূরে থাকলে সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখার দায়িত্বটা বেড়ে যায়। কারণ সঙ্গী তখন চোখের আড়ালে। সারাদিন কোথায় যাচ্ছেন কি করছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা না করলেও, মোটামুটি আপডেট দিয়ে রাখলে ভালো। এতে সঙ্গীর সন্দেহপ্রবণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
যোগাযোগঃ দিনে অন্তত একবার কথা বলাটা জরুরী, ৫ মিনিটের জন্য হলেও। এটাকে বাধ্যবাধকতা যদি মনে হয় তাহলে বলতে হবে সম্পর্কের ভিতটাই দুর্বল।
কারণ, ভালোবাসা থাকলে মনের মানুষের সঙ্গে দিনান্তে অন্তত একবার কথা বলতে ইচ্ছে করাটাই খুব স্বাভাবিক। তবে যদি কেউ কোন দুরূহ কাজে থাকেন বা এমার্জেন্সি সার্ভিস করেন সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা।
সঙ্গীকে জানানোঃ সঙ্গী যখন আলাদা শহরে, তখন অচেনা বা অল্প চেনা কারো সঙ্গে কফি বা ডিনার লাঞ্চ খেতে যাওয়ার আগে, একবার তাকে জানিয়ে রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ দূরে থাকলে যেকোনো মানুষের মধ্যে সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে নিয়ে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। তাকে না জানিয়ে কোথাও গেলে তিনি ভুল ভাবতে পারেন।
সঙ্গীর যত্ন নিনঃ সঙ্গী বা সঙ্গিনী যখন দূরে তখন অন্য বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে খুব বেশি পার্টি না করে বেড়ানো ভালো। অত্যন্ত সংবেদনশীল পার্টনারের এতে মন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মন ভালো রাখুনঃ মনের মানুষ দূরে রয়েছেন বলে সবসময়ের শোকাচ্ছন্ন থাকাটা একেবারে কাজের কথা নয়। নিজের মনকে ঠিক রাখার দায়িত্বটা নিজেরই। পার্টনার কাছে থাকলে বা একই শহরে থাকলে যেমন হাসিখুশি থাকতেন তেমনটাই থাকুন। এতে দূরে থাকা মানুষটির ভালো থাকবে।