চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
বিয়ে বাড়িতে নাচার অনুমতি না দেওয়ায় পাবনার চাটমোহরের মূলগ্রাম ইউনিয়নের জগতলা গ্রামের এক খ্রিষ্টান পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ভূক্তভোগি পরিবারের সদস্যদের। এ ঘটনায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন ঐ পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ে বাড়ি ও এর আশপাশে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পুলিশ প্রহরায় অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের কার্যক্রম।
সনি গমেজের চাঁচা সুব্রত গমেজ জানান, আমার ভাই মৃত সুবল গমেজের ছেলে সনি গমেজের সাথে গাজীপুরের কালীগঞ্জের লুইস কস্তার মেয়ে বৃষ্টি কস্তার বিয়ের নির্ধারিত দিন ছিল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর)। গায়ে হলুদ উপলক্ষ্যে সোমবার রাতে সনি গমেজের বাড়িতে আমাদের পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নাচ গান করছিল। এসময় রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে একই গ্রামের মৃত নুরুজ্জামান ফকিরের ছেলে আমির আলী নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নাচে অংশ নিতে চাইলে আমরা তাকে নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে মারধোর করে এবং হুমকী ধামকী দেয়। আমার ভাই বিশালের চোখ তুলে নেওয়ার হুমকী দেয়। এর মধ্যে ওর আরো কিছু সহযোগি চলে আসে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত দুইটার দিকে আমির আলীর সহযোগি রবিউল আমাদের বাড়িতে আসে এবং আবার হট্টগোল শুরু করে। চেয়ার প্লেট ভাংচুরের ঘটনাও ঘটায়।
সকালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য গীর্জায় যাওয়ার সময় পথে ভ্যান থেকে নামিয়ে আমির আলী, রবিউল ও তাদের সহযোগিরা ছেলে ও মেয়ে পক্ষের জন কস্তা, শ্রাবন কস্তা, বিশাল কস্তা, জেকসন ক্রুজ, প্রত্যয় গমেজ, ট্যারেস রিবেরুসহ আরো কয়েক জনকে মারধোর করে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আপাতত কোন সমস্যা নেই। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”