প্লাস সাইজ মডেলের লেবাননের বৈরুত থেকে ব্রাজিলে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ওজন বেশি হওয়ায় এয়ারলাইন্সের কর্মীরা তাকে বিমানে উঠতে দেয়নি। তাই কাতার এয়ারওয়েজকে অদ্ভুত শাস্তি দিয়েছে ব্রাজিলের আদালত।
আদালতের বিচারক জানিয়েছেন, কাতার এয়ারওয়েজকে ১ বছরের জন্য ওই মডেলের সাইকোথেরাপির খরচ দিতে হবে। ব্রাজিলের সাও পাওলোর বাসিন্দা জুলিয়ানা নেহমে লেবাননের বৈরুত থেকে দোহা যাওয়ার কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ইকোনমি ক্লাসের টিকিট বুক করেছিলেন। পরে দোহা থেকে তার সাও পাওলো আসার কথা ছিল।
কিন্তু ২২ নভেম্বর বৈরুত থেকে ফ্লাইটে ওঠার সময় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাকে থামিয়ে দেয়। ৩৮ বছর বয়সী মডেলটিকে ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণের জন্য খুব বড় দেখায় বলে জানায় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
তাই টিকিটের জন্য এক হাজার ডলার দিলেও কোম্পানি তাকে বিমানে উঠতে দেয়নি। পরে তাকে তিন হাজার ডলারে বিজনেস ক্লাসের টিকিট কিনতে বলা হয়।
স্বাভাবিকভাবেই অপমানিত জুলিয়ানা সেই পরামর্শে রাজি হননি। এয়ারলাইন্সের এমন কর্মকাণ্ডে তিনি সময়মতো দেশে ফেরেননি। তবে পুরো ঘটনাটি ভিডিওতে রেকর্ড করেন জুলিয়ানা। দেশে ফেরার পর নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে আপলোড করেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও।
ভিডিওতে জুলিয়ানা বলেন, ‘ঘটনার পর কাতার এয়ারওয়েজ ইকোনমি ক্লাস টিকিটের টাকাও ফেরত দেয়নি। কাতার এয়ারওয়েজের মতো কোম্পানির যাত্রীদের প্রতি এমন বৈষম্যমূলক আচরণ সহ্য করা লজ্জাজনক! আমি মোটা, কিন্তু আমি সবার মতোই।’
সূত্রের খবর, সাও পাওলোর একটি আদালত কাতার এয়ারওয়েজকে এই ঘটনায় জুলিয়ানার চিকিৎসা ব্যয় বহন করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, প্লাস সাইজ মডেলের সাইকোথেরাপির জন্য ১ বছর ধরে সেশনবাবদ ৭৮ ডলার করে দিতে হবে কাতার এয়ারওয়েজকে। ফলে এক বছরে মোট ৩ হাজার ৭১৮ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এয়ারলাইন্সকে।
যদিও কাতার এয়ারওয়েজ এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সংস্থাটির দাবি, জুলিয়ানার একজন সঙ্গী কোভিডের নিয়মগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করছিলেন না। তাকে এটি বলার পরে, জুলিয়ানা কোম্পানির কর্মীদের সঙ্গে খুব আক্রমণাত্মক এবং খারাপভাবে কথা বলেছিলেন। এ কারণে তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে কাতার এয়ারওয়েজ।