ইয়ানূর রহমান : বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত পথে অবৈধ ভাবে ভারত প্রবেশ কালে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের হাতে নির্যাতনের অভিযোগে নিহত শাহিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। তবে পরিবার বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতনের কথা বললেও এ হত্যার দায় শিকার করেনি সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় বেনাপোল সীমান্তের শুন্য রেখায় শাহিনের মরদেহ পোর্ট থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । এসময় সেখানে নিহতের স্বজন, সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ, বাংলাদেশ বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শাহিন বেনাপোল বন্দর থানার পুটখালী পশ্চিমপাড়া গ্রামের সামসুর রহমানের ছেলে। এর আগে শনিবার ভারতের বনগাঁর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীনের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনেরা জানান, শাহীন ভারত যাওয়ার জন্য অবৈধ ভাবে গত ১০ ডিসেম্বর সীমান্ত অতিক্রম করে। এসময় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ তাকে ধরে শারিরীক নির্যাতন করলে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তাকে ভারতের ২৪ পরগনা বঁনগা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ দিন পর সে মারা যায়। পরে মরদেহ ফেরত চেয়ে পরিবার আবেদন করলে তাকে ফেরত দেয় পুলিশ। এদিকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
শাহিনের বাবা সামসুর রহমান জানান, বিএসএফ ধরে যদি জেলে দিত একদিন ছেলেকে ফিরে পেতাম। কিন্তু তারা নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করলো। এর সুষ্ট তদন্ত চায়। নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া জানায়, ৫ বছরের এক মাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাকি জীবন কিভাবে কাটাবো! গন্তান আর বাবা ডাকতে পারবেনা।
বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার সরদার জানান, তাকে ধরে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠায় বিএসএফ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিনের মৃত্যু হয়। এমন ঘটনার নিন্দা জানায়।
বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিবি বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, দুই দেশের প্রশাসন ও হাইকমিশনের হস্তক্ষেপে শাহিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তার তথ্য আমাদের জানা নেই। মরদেহটি পোর্ট থানা পুলিশ গ্রহণ শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া জানান, পুলিশ, বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের উপস্থিতিতে ভারতীয় বিএসএফ শাহিনের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় সীমান্তের শুণ্য রেখায় ফেরত দেয়। মৌখিক ভাবে লাশ ফেরতের খবর তিনি পেয়েছিলেন।