এবার পাবনাবাসীর প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান দিল আর্জেন্টিনা!

পাবনা প্রতিনিধি
আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আবেগ আর্জেন্টিনার মানুষের কাছেও অন্য এক জায়গা করে নিয়েছে। বাঙালির ভালোবাসার প্রতিদান আর্জেন্টাইনরা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেছেন।

এবার আর্জেন্টাইনরা ভালোবাসার প্রতিদান দিল পাবনাবাসীকেও। ফাইনালের দিন মেসিবাহিনীকে শুভকামনা জানিয়ে পাবনায় বের হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রা দুটি ছবি শেয়ার করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন-এএফএ।

Liga Profesional de Fútbol de la AFA নামের আর্জেন্টিনার ফুবটলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ফেরিফাইড পেজে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৪১ মিনিটে দুটি ছবি পোস্ট করে। ছবি দুটি পাবনার জজকোর্ট তথা জিরো পয়েন্ট থেকে তোলা। এতে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার পতাকা ব্যবহার করে লেখা হয়েছে। Nuestro amigo ?? Our friend… যার বাংলা আমাদের বন্ধু ? আমাদের বন্ধু…

পাবনা শহরের দিলালপুরের বাসিন্দা আর্জেন্টিনার সমর্থক পাভেল মৃধা বলেন, ‘এতোদিন আর্জেন্টাইনরা ঢাকার অনেক ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা প্রতিদান দিয়েছে। আজ আমাদের পাবনার ছবি শেয়ার করলো। এতে আমাদের আনন্দ প্রকাশ করার ভাষা পাচ্ছি না।’

সানজামুল হক নামের পাবনার আরেক আর্জেন্টাইন সমর্থক বলেন, ‘সেদিন আমরা যেভালোবাসা প্রকাশ করেছিলোম আজ আর্জেন্টাইনরা সেই ভালোবাসা প্রতিদান দিল। আমরা আজেন্টাইন সমর্থক হিসেবে সার্থক ও গর্বিত।’

এর আগে রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এ বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কলেজের প্রধান গেট হয়ে, বড় ব্রিজ, আব্দুল হামিদ রোড ঘুরে আবারও এডওয়ার্ড কলেজের ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা প্রিয় দল ও খেলোয়াড়ের জার্সি পরে উল্লাস প্রকাশ করেন সমর্থকরা। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক নিয়ে বড় বড় পতাকা হাতে শোভাযাত্রায় পাবনার আর্জেন্টাইন কয়েক শতাধিক সমর্থক অংশ নেন। শোভাযাত্রায় বড় আকর্ষণ ছিল হাতি। হাতিকে আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা রঙে সাজিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

শোভাযাত্রা চলাকালে নেচে-গেয়ে বাঁশি ও ভুভুজেলা বাজিয়ে চারপাশে উন্মাদনা ছড়িয়ে দেন। আর্জেন্টিনা, আর্জেন্টিনা, খালি মেসি, খালি মেসি- ইত্যাদি স্লোগানে মুখর করে তোলে গোটা শহর। এসময় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতাও হাত নেড়ে আর্জেন্টিনা দলের সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান।