শ্রীমঙ্গলে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করছে একটি অসাধু চক্র অবৈধ ভাবে পুনরায় বালু ও মাটি উত্তোলন

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ শ্রীমঙ্গলে লাংলী নদীতে (বিলাস নদী) অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি অসাধু চক্র। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে ট্রাক ভর্তি করে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। আজ ৩০ নভেম্বর সকালে সরেজমিন দেখা যায় অলিপুর (মতিগঞ্জ) গ্রামের ইছল মিয়া ওরফে মায়া মিয়ার পুত্র হায়দর মিয়া,অলিপুর নিবাসী অমর আলীর পুত্র হান্নান মিয়া,ও সুমন মিয়াগংরা ট্রাক ভর্তি করে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করছেন । অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে জনসাধারণ এর জন্য চলাচলের জন্য রাস্থা ও বাড়ী ঘর হুমকির মুখে রয়েছে। রাস্থা ভেঙ্গে যাচ্ছে। বর্ষায় প্লাাবিত হয়ে পানিতে তলিয়ে যাবে ঘরবাড়ি ও কৃষকের সোনালী ফসল। স্থানীয়রা জানান- অবৈধ ভাবে প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে। এসব অনিয়ম-দুর্ণীতির কারণে সরকার বিপুলপরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা নয় আরো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন জরুরী। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক এর নির্দেশনায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী তাদের নগদ টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও জব্দকৃত মালামাল ঘটনাস্থলে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে আদায় করা হলেও পুনরায় ইছল মিয়া ওরফে মায়া মিয়ার পুত্র হায়দর মিয়া,অলিপুর নিবাসী অমর আলীর পুত্র হান্নান মিয়াও সুমন মিয়াগংরা এসব করে আসছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও বন্ধ হচ্ছে না। জানা গেছে- রাজঘাট দিয়ে প্রবাহিত লাংলী নদী হেতিমগঞ্জ নামক স্থানে বিলাস নদীতে গিয়ে হাইল হাওরে মিলিত হয়েছে। বর্তমানে এ নদীর রূপরেখা খালে পরিণত হয়েছে।