ইয়ানূর রহমান : যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডের সন্ত্রাসী আসাদুজ্জান ওরফে বুনো আসাদকে হত্যার অভিযোগে একজন কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার নিহতের ভাই সাহিদুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
আসামিরা হলো শহরের বেজপাড়ার মাঠপাড়ার সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাশেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বনানী রোডের আক্কাচের ছেলে চঞ্চল, খোকনের ছেলে আকাশ, খাইরুল ইসলামের ছেলে লিপন ওরফে বস্তা লিপন, আইয়ুব আলীর ছেলে সুমন, বিশ্বজিত মুখার্জির ছেলে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জী ওরফে উপল মুখার্জী ওরফে কানাই লাখ কানু ও রায়পাড়ার বিপ্লব।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি গ্রহণ করে এ ঘটনার কোতয়ালি থানায় কোন মামলা আছে কিনা থাকলে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান আসাদ বাড়িতে গরুর খামার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসাদ সাদেক দারোগার মোড়ে ওষুধ কিনতে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামিদের মধ্যে খাবড়ি হাসান চাকু দিয়ে বুকে আঘাত করে আসাদের। আসাদ মাটিতে পড়ে গেলে অন্য আসামিরা তাকে মারপিট ও ছুরিকাঘাতে জখম করে। গুরুতর আহত আসাদকে প্রথমে যশোর পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন ৯ নভেম্বর আসাদকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়। ২১ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসাদ মারা যান। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এ ঘটনার সাথে বস্তা লিপন ও সুমন ঘটনাস্থলে থেকে আসাদকে মারপিট করেছিল। এছাড়া আসাদ গত ২২ সেপ্টেম্বর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন দুদকে। এপর ইন্দ্রজিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে আসাদকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। আসাদ অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় তার পরিকল্পনায় আসামিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।