ইয়ানূর রহমান : যশোর শিক্ষাবোর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.১৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৯২ জন। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০২১ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৬ হাজার ৪৬১ জন। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে পাসের হারও। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩.০৯
শতাংশ। সেই তুলনায় এবার পাসের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
যশোর বোর্ডে মেয়েদের টপকাতে পারছে না ছেলেরা। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তাই বলছে। এবারও মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ২৭৫ জন মেয়ে। আর ১৩ হাজার ৬১৭ জন ছেলে পেয়েছে জিপিএ-৫। পাসের হারেও এগিয়ে মেয়েরা। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৫১৩ টি স্কুল থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস
করেছে। অকৃতকার্য হয়েছে একটি স্কুল থেকে। ওই স্কুলের নাম গালদা খরিঞ্চি গার্লস হাইস্কুল। এটি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই স্কুল থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলেও সে পাস করতে পারেনি।
এদিকে, দুপুর দেড়টায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের পর প্রেসক্লাব যশোরে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে ব্রিফিং করেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধবচন্দ্র রুদ্র। তিনি বলেন, এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য নানা অপশন থাকায় পাসের হার বেড়েছে।
ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী, উপ কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাশ ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) ফজলুর রহমান।
অপরদিকে, সকাল থেকে ফল প্রত্যাশীরা তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় করতে থাকে। সকাল সাড়ে ১১ টার পর থেকেই অনলাইন এবং মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জেনে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
বাজনার তালে তালে আনন্দ, নাচ ও মিষ্টি বিতরণ করেন অনেকে। কাঙ্খিত ফলাফলে খুশি শিক্ষার্থীরা। সন্তানের সাফল্যে আনন্দ অশ্রু ঝরে অনেক অভিভাবকের। এর উল্টো চিত্রও দেখা যায়। কাঙ্খিত ফল না পেয়ে অনেক পরীক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়ে।#