নাজিম হাসান ,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলার কৃষকেরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মাচাতে টমেটো চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। তবে জমিতে চাষ করা টমেটোর চেয়ে মাচার গাছপাকা টমেটোতেই ভোক্তাদের আগ্রহ বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। মৌসুমের শুরুতে টমেটোর ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। এরিমধ্যে অর্থকরি ফসল হিসেবে পরিচিত গোদাগাড়ীতে শীতকালীন টমেটো উঠতে শুরু করেছে। জেলার বেশীরভাগ টমেটো এই উপজেলাতেই হয়ে থাকে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, বিজলি-১১ জাতের এই টমেটো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। ফলে সম্ভাবনা গড়ে উঠছে এর বিদেশি বাজারেও। বাঁশের মাচায় সারি সারি টমেটোর গাছে থোকায় থোকায় কৃষকের স্বপ্নের টমেটো। জমি থেকে মাচার এ গাছ ৪ মাস বেশি ফল দেয়, আর আকারেও বড় হয় এর টমেটো। এ গাছে অল্প যতেœই ঝুড়ি ভরে ওঠে কৃষকের স্বপ্নের টমেটো জমির টমেটোর যখন শেষ সময় তখন এ বাগান থেকে প্রতি বিঘায় কৃষক টমেটো পায় ৮ থেকে ৯ মণ। এর ফলন আর মূল্যে আশাবাদী কৃষক। এর আগেও কৃষকেরা মাচাতে টমেটো চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হয়েছেন। পাইকাররা বলছে, জমিতে চাষ করা টমেটোর চেয়ে মাচার গাছপাকা টমেটোতেই ভোক্তাদের আগ্রহ বেশি। কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, এই টমেটো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হওয়ায়, সম্ভাবনা গড়ে উঠছে এর বিদেশি বাজারে। গত বছর খুচরা বাজারে রাসায়নিক স্প্রে করা টমেটোর দাম পায়নি পাইকাররা। তাই এবার ভালো দামের প্রত্যাশায় মাচার টমেটোতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তারা। গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গত বছর গোদাগাড়িতে টমেটোর আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় জানায়, সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টমেটো চাষের মৌসুম ধরা হয়। গোদাগাড়ী, পবা, চারঘাট ও বাঘা,পুৃঠিয়া, দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় আগাম টমেটোর আবাদ হয়। এছাড়া রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২১১ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। গতবার আবাদ হয়েছিল ৩ হাজার ২৭৮ হেক্টর। এখনো চাষিরা নতুন করে টমেটো চারা রোপন করছেন। তবে জেলার টমেটো খ্যাত বলে পরিচিত গোদাগাড়ি উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন মাঠে টমেটো উঠতে শুরু করেছে। তবে চাহিদা এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন এখানকার চাষিরা টমেটো চাষে ঝুঁকছে।