জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার তারবাগান গুছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আর্থিক সংকট থাকার পরও বিদ্যালয়ের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও ঝড়েপড়া ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিল খাওয়াছে গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রথা কলার পাতায়। যা এক সময় আমাদের সমাজের ধনী,গরিব সহ সকল শ্রেণীর মানুষ অর্থ অভাব যা কিনা অনুষ্ঠানে থালার বিকল্প হিসেবে খাওয়া-দাওয়া করা হত কলার পাতায়। সময় ও কালের পরির্বতন আধুনিকতার ছোয়ায় এটি সমাজ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। সচরাচর আর কথাও এর ব্যবহার চোখে না পরলেও গত কাল দুপুরে বিদ্যালয়টিতে গিয় দেখা যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্র-ছাত্রীদের মাটিতে বসিয়ে কলার পাতায় মিড-ডে মিলের খিচুরী খাওয়াছন।
মাটিতে বসে কলার পাতায় স্কুলের মিড-ডে মিল খাওয়ার বিষয়ে পঞ্চম শ্রেণীর আফিয়া,তানজিনা,সাবির,৪র্থ শ্রেণীর মারিয়া,সাদিয়া,সাকিল,ও ৩য় শ্রেণীর খুশি,জুবায়েদ ও মুনি সকলেই বলেন, আমাদের স্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ার বিষয়ে কোনো টাকা লাগেনা। মাসে দুই দিন ভাত ও খিচুরী এবং প্রতিদিন টিফিনের সময় বিস্কুট,পাউরুটি কলা দেওয়া হয়। মিড-ডে মিল খাওয়ার জন্য থালা,পানির গ্লাস ও বসার চট সবকিছুই ছিল কিন্ত করোনায় গত দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকায় এ সব নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য আমরা মাটিতে বসে কলার পাতায় খাই এতে আমরা অনেক আনন্দ পাই। দাদা-দাদি ও নানা-নানিদের মুখে শুনেছি আগে নাকি সব অনুষ্ঠানেই এ ভাবে সবাই মাটিতে বসে কলার পাতায় মজা করে খেত। তাই আমরাও মাটিতে বসে মজা করে খাই।
এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদর স্কুলে খেলা ধুলার জন্য কোনা কিছু না থাকায় আমরা স্কুলে খেলাধুলা করতে পারছি না। পানি খাওয়ার কোনা টিউবওয়েল এবং ওয়াস রুম নাই এ গুলো আমরা চাই।
বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলন,স্কুলের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও ঝড়েপড়া রোধের জন্য আমি নিজ উদ্দ্যেগে গত ২০১৯ সাল থেকে স্কুলে মিড-ডে মিল চালাচ্ছি। বর্তমান স্কুলে ১৩০জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। করোনায় গত দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকায় মিড-ডে মিলের সরঞ্জাম গুলো নষ্টের পথে আর আমিও অর্থ সংকটে আছি কিন্তু মিড-ডে মিল তো চালাতে হবে তাই বুদ্ধি করে পুরাতন প্রথা কলার পাতায় খাওয়াচ্ছি এতে আমার অনেক অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।