লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
গতকাল লালমনিরহাট জেলা শহরে রংপুর -লালমনিরহাট পৌরসভার বর্ধিত সম্প্রসারিত এলাকা পৌরসভার অন্তর্ভুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসি।ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টিসহ জনভোগান্তি হয়।অবরোধ সমাবেশে বক্তারা বলেন যে, বাংলাদেশ সরকার গেজেট এস আর ও নম্বর ২৭২/২০০৪ প্রকাশিত ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০৪ খ্রিঃ এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় লালমনিরহাট হতে স্মারক নম্বর এলজি/০৪-১৭/০৫/৫১১(১০০), তারিখ ২৭/৮/২০০৫ খ্রিঃ প্রজ্ঞাপনের আলোকে লালমনিরহাট পৌরসভার সংলগ্ন সাপ্টীবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া এবং সাপ্টীবাড়ী মৌজার জে এল নং ১০৪ ও১০৬ এর দাগ সমুহ এবং মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা ও তেলিপাড়া মৌজার জেএলনং ২০ ও ২৩ এর দাগ সমুহের ভূমি, স্থাপনা,শিল্পপ্রতিষ্ঠান আবাসিক এলাকাসমুহ শহর এলাকা ঘোষনা করে লালমনিরহাট পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করা হয। উক্ত গেজেট প্রজ্ঞাপনের পর থেকে উক্ত এলাকার ভুমি সমুহের ভূমি উন্নয়ন কর ( খাজনা) পৌরসভা হারে ইউনিয়ন অপেক্ষা উচ্চ হারে ভূমি মালিকগন নিয়মিত পরিশোধ করছেন। এমনকি উক্ত এলাকার জমি ক্রয় বিক্রয় কালে পৌর এলাকার অন্তর্ভক্তির কারণে অতিরিক্ত হারে রেজিষ্ট্রেশন ফি পরিশোধ করে জমি রেজিষ্ট্রি করতে হয়।কিন্তু উক্ত জমির বসবাসকারীগন পৌরসভার ভোটার অন্তর্ভুক্তি না করে এখনো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার রয়েছেন। তাই তাদের এলাকার উন্নয়নে পৌরসভা কোনরুপ উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে না।আবার ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার হওয়ায় কিন্তু জমির মালিকানা পৌরসভাভুক্ত হওযায় ইউনিয়ন পরিষদ ও কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে না। বিক্ষোভকারীরা এই সমস্যা সমাধান করতে দ্রুত গেজেট বাস্তবায়ন করে পৌরসভা ভোটারের অন্তর্ভুক্তির দাবি করেন।সরেজমিনে দেখা যায,উক্ত এলাকার সমুহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে বিসিক শিল্পনগরী সহ বিভিন্ন প্রকার শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এছাড়াও সরকারি সড়ক ও জনপদ ভবন, জেলা পরিষদ ভবন, পিটিআই সহ বে-সরকারি সংস্থা আরডিআরএস আঞ্চলিক অফিস,কেয়ার বাংলাদেশ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাইভেট ক্লিনিক,হাসপাতালসহ বহুতলা স্থাপনার আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। কিন্ত পৌরসভার ওয়ার্ড ভুক্ত ভোটার না হওয়ায় পৌরসভা রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, সড়ক নির্মাণ, সড়ক বাতি, বর্জ্য অপসারন সহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা হতে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।এছাড়াও উক্ত এলাকার জনগনের আবাসিক পরিচয় নিয়ে ও হীণমনতায় পরতে হয়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পৌরসভা মেয়র মোঃ রেজাউল করিম স্বপন এর মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান, ুউক্ত গেজেট ভুক্ত সম্প্রসারিত স্থান পৌরসভাভুক্ত করলে উক্ত এলাকা হতে পৌরসভার পৌর কর আদায় করা সম্ভব হবে এবং উন্নয়ন কাজে কোন আইনগত বাঁধা থাকবে না।তিনিও গেজেটটি বাস্তবায়নের দাবি করেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত গেজেট করে ভোটার পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করে এই সমস্যা সমাধান করবেন বলে তিনি আশা করেন।
পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিসমত আলী বলেন,উক্ত এলাকা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করে ওয়ার্ড বিভাজন করলে আমরা উক্ত এলাকার সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ভুমিকা রাখতে পারি
তিনি বলেন যে,কর্তৃপক্ষের গাফলাতির ও নিরাবতার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা বিরাজ করছে।লালমনিরহাট জেলা ব্যবসায়ী নেতা মোঃ মোকছেদ আলী দাবী করেন,জেলা বাণিজ্যের সম্প্রসারনের জন্য দ্রুত গেজেট বাস্তবায়ন করে উক্ত এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানসমুহ পৌর এলাকাভুক্ত করা উচিত।এতে পৌরসভার যেমন রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে তেমনি এলাকার ও উন্নয়ন হবে। উক্ত এলাকার বাসিন্দা আলামিন অভিযোগ করেন যে,আমরা জমির খাজনা, রেজিষ্ট্রেশন ফি কিছু কিছু বাসায় হোল্ডিং ও ট্রেড লাইসন্স অনেক ভোগান্তি নিয়ে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে পৌরসভা থেকে করতে হয়ে।কিন্তু ভোটার না হওয়ায় পৌরসভা থেকে কোনো সুবিধা পাইনা। জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলে জানাযায় কমিশন থেকে নির্দেশ না আসলে তারা পৌরসভার সম্প্রসারিত এলাকার ভোটার পৌরসভায় অন্তর্ভুক্তি করবে।