ইয়ানূর রহমান : আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় আনুমানিক ৩০০ মাইক ব্যবহার করা হবে। তবে, এই মাইক আসবে ঢাকা থেকে।
তাও ঢাকার যেই সেই কোম্পানি নয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কোম্পানির মাইকে ভাষণ দিয়ে জাতিকে জাগ্রত করেছিলেন, প্রথমবারের মতো যশোরে আনা হচ্ছে সেই ‘কলরেডি’কেই । নিখুঁত সাউন্ড সিস্টেম পেতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে যশোরের আওয়ামীলীগের নেতারা জানিয়েছেন।
আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। এখনো পর্যন্ত সম্ভাব্য ভেন্যু স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামকে ভেন্যু ধরে সকল কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের একাধিক এমপি ও জেলা নেতৃবৃন্দ স্টেডিয়ামে মঞ্চ নির্মাণ ও মাইক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন। মাইক সেটআপের জন্য মাঠ পরিদর্শনে আসেন কলরেডির সত্বাধিকারী ত্রিনাথ ঘোষ সাগরসহ তার কোম্পানির কর্মকর্তারা। তাদের সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি।
কলরেডির মালিক সাগর জানান, আয়োজকরা তাদেরকে জানিয়েছেন, যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় পাঁচ থেকে সাত লাখ লোক হবে। এটি মাথায় রেখে কাজ করছে কলরেডি। সেই হিসেবে ২৫০ থেকে ৩০০ মাইক টাঙানো হবে বলে কলরেডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। যাতে সাউন্ড সিস্টেমের কোনো ত্রুটি না হয় সেই জন্য চুলচেরা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। শব্দ ক্লিয়ার করতে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে বলে কলরেডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
একাধিক সূত্র থেকে জানাগেছে, জনসভা সফল করতে ভালো সাউন্ড সিস্টেমের তাগিদ অনুভব করেন বাগেরহাটের এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন। সেই তাগিদ থেকে তিনি যশোরের নেতৃবৃন্দকে ঢাকা থেকে কলরেডিকে আনার পরামর্শ দেন। এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের পরামর্শে কলরেডিকে প্রথমবারের মতো যশোরে আনা হচ্ছে। যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসতে পেরে গর্বিত কলরেডি কর্তৃপক্ষও।
এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মালিক ত্রিনাথ ঘোষ সাগর বলেন, ‘১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলরেডির মাইকে ভাষণ দিয়েছিলেন। তার সে দিনের ভাষণে জাতি পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তির আলো দেখেছিল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ
স্বাধীন হয়। এ কারণে কলরেডি ঐতিহাসিক।’
জনসভাস্থল পরিদর্শনের পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির কাছে সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বক্তব্য দেওয়ার মতো সময় এখনো আসেনি। কাজ চলছে। নেতৃবৃন্দ কথা বলছেন। সবকিছু শেষ হলে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দেবো।’
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ জনসভাস্থল স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। তিনি সার্বিক কাজের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার বাইরে সর্বপ্রথম যশোরে আসছেন। এ কারণে যশোরের মানুষ আপ্লুত।
তার আগমনের খবরে ইতিমধ্যে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে সকল এমপি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করাই তাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন এমপি কাজী নাবিল আহমেদ।