জসীমউদ্দীন ইতি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দর্শকদের অভিযোগ খেলার মাঠে দেশীয় অস্ত্র আসলো কিভাবে?
রবিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে আহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, আজ বিকেলে জেলা স্কুল বড় মাঠে আজাদ ক্লাব বনাম জাগ্রত যুব সংঘের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৯০ মিনিটের খেলায় জাগ্রত যুব সংঘ দুই ও আজাদ ক্লাব এক গোল দেন। খেলার সময় শেষ হলে রেফারি আরো দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়। দুই মিনিটের মধ্যে আজাদ ক্লাব আরো একটি গোল দেয় কিন্তু লাইসম্যান তা দেখতে না পেয়ে উত্তোজিত জনতা লাইসম্যানকে ঘিরে রাখে। এসময় উৎসুক জনতা মাঠে প্রবেস করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এঘটনায় বেশকয়েকজন আহত হলেও গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে স্থানীয়রা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
খেলা দেখতে আসা অনেকেই জানায়, খেলার মধ্যে হার-জিত থাকবেই তাই বলে মারামারি করতে হবে কেন? খেলার মধ্যে যে ভাবে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি করলো তার মানে বুঝায় যাচ্ছে এটা পূর্ব পরিকল্পিত। যদি পূর্ব পরিকল্পিত না হয় তাহলে মুহুর্তের মধ্যে কিভাবে এতো দেশীয় অস্ত্র পেলো। তারা। খেলায় যদি নিরাপদ না দিতে পারে তাহলে খেলার আয়োজন কেন করা হয়। দ্রুত অপরাধীর আইনের আওয়াতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া কথা জানান দর্শকরা।
ঠাকুরগাঁও সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, আজ বিকেলে শহরের জগ্রত যুব সংঘ ও আজাদ ক্লাব এর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।