মৌলিক অধিকার আদায়ের পূর্ব শর্তই হচ্ছে তথ্য অধিকার আইন…প্রধান তথ্য কমিশনার


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ বলেছেন,অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসাসহ সকল মৌলিক অধিকার আদায়ের প্রধান ও পূর্ব শর্তই হচ্ছে তথ্য অধিকার আইন। এ আইনের অবাধ প্রবাহের ফলে
প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা,জবাবদিহীতা,গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের মজবুত ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ও জেলা প্রশাসন সুনামগঞ্জ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ক জন অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ মহি উদ্দিনের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আবু সাইদ, কমিশনের সহকারী প্রোগ্রামার মো.সালাহ উদ্দিন,টিআইবির সভাপতি নুরুর রব চৌধুরী,সরকারী কলেজের অধ্যাপক জমশেদ আলী,সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি আল-হেলাল, শিক্ষক মোঃ আব্দুছ সাত্তার ও শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার খানমসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় সুনামগঞ্জের বাউল শিল্পী মরহুম বাউল কামাল পাশা রচিত“কাঙ্কের কলসী” গানটির সুরে তথ্য অধিকার আইন নিয়ে সাংবাদিক বাউল
শিল্পী আল-হেলালের রচিত ও পরিবেশিত “তথ্য অধিকার,দাবী সকল জনতার/ সুশাসন আসিবে বাংলাদেশে” গানে মুগ্ধ হন উপস্থিত অতিথি ও অংশগ্রহনকারীগন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আইসিটি শাখার সহকারী কমিশনার আর্নিকা আক্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম,জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল,তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো: আব্দুস ছাত্তার, জেলা শিক্ষা অফিসার মো.জাহাঙ্গীর আলম,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রত্যেক অংশগ্রহনকারীদের হাতে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ প্রণীত তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আবেদনকারীগনের জন্য ৩২ পৃষ্ঠার নির্দেশিকা প্রদান করা হয়। সভাপতির বক্তৃতায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ মহি উদ্দিন বলেন,তথ্য অধিকার আইনে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত ৮২৩টি আবেদন পেয়েছে। এর মধ্যে ৮২১টি আবেদন জেলা প্রশাসন তথ্য প্রদানসহ নিস্পত্তি করেছে।