সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়ায় পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রাইভেটকার চালক সবুজ খন্দকার হত্যার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, সবুজ খন্দকার নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার বাসিন্দা ও পেশায় একজন প্রাইভেট কার চালক। ভাড়া নেওয়া প্রাইভেট কার ছিনতাইয়ের জন্যই তাকে খুন করা হয়৷
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন, নারায়নগঞ্জের বন্দর থানা এলাকার হাজিপুর এলাকার মৃত সওদাগরের ছেলে আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাবুল (৫২) ও দুপচাঁচিয়ার মাগুড়া গ্রামের মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪২)। এরমধ্যে বাবুলের শ্বশুর বাড়ি দুপচাঁচিয়া এবং তিনি ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে দুপচাঁচিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আজাদকে ও একই সময়ে জহুরুলকে বগুড়া শহরের তিনমাথার একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে দুপচাঁচিয়া চৌমুহনী বাজারের একটি ফিলিং স্টেশন থেকে ছিনতাই হওয়া প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
বগুড়া জেলা পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ গ্রেপ্তার দু’জন সবুজ খন্দকারের প্রাইভেট কার তিনদিন রিজার্ভ হিসেবে ভাড়া করেন। ওইদিন রাত ৮ টার দিকে সোনারগাঁও মদনপুর থেকে বগুড়ায় যাওয়ার জন্য তারা রওনা দেন। ৬ নভেম্বর গ্রেপ্তার আজাদের বাড়িতে সবুজকে রাতের খাবারের জন্য ডাকা হয়।
এসময় কৌশলে গ্রেপ্তার দু’জন সবুজের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত পর তাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিতের পর সবুজের লাশ বস্তাবন্দি করে বেলোহালি স্কুলের পিছনে পুকুরের ফেলে দেওয়া হয়।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শুধুমাত্র প্রাইভেট কার ছিনতাই করতেই সবুজ খন্দকারকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার দু’জন আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।