ইয়ানূর রহমান : পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় যশোরের আরবপুর এলাকায় একটি পরিবারকে এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ ও পানি বিচ্ছিন্ন করে জিম্মির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই পরিবারকে বিতাড়িত করতে বাড়িওয়ালা ডাক্তার রবিউল ইসলাম এই পথ বেছে নিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ওই পরিবারটি। অবশ্য পুলিশের দাবি তারা বিষয়টি জানে না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছে।
ভুক্তভোগী সাবেক সেনা কর্মকর্তা শাহাজাহান আলী জানান, যশোর সেনানিবাসে চাকরিকালে ২০০৭ সালে তিনি আরবপুর এলাকার মাওলানা আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। অবসরে গেলে বাড়ির মালিকের ছেলে বদরুল আলম ব্যবসার কথা বলে টাকা ধার চান। তিনি টাকা দিতে রাজি না হলে তার স্ত্রীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করান। প্রস্তাব দেন টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত লভ্যাংশ দেবেন এবং পরিশোধ করতে না পারলে জমি লিখে দেবেন। এরপর ২০১১ সালে ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ধার হিসেবে নেন। হঠাৎ ২০১৪ সালে পালিয়ে যান বদরুল আলম। বিষয়টি নিয়ে তখন সালিশ বৈঠক হলে বদরুল আলমের পিতা ও বোন দুলাভাই ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রতিমাসে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ঘর ভাড়ার ৫০০০ টাকা কাটার মাধ্যমে মোট ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকি টাকা না দেয়ার জন্য এখন নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।
ভুক্তভোগী শাহজাহানের স্ত্রী নুরজাহান বেগম আরো জানান, বদরুল আলমের ছোট ভাই ডাক্তার রবিউল ইসলাম তাদেরকে বাসা ছাড়া করতে গত শুক্রবার থেকে বাসার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এতে চরম মানবতার জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না। উপরন্তু নানাভাবে হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি নানা অজুহাতে দেখা করতে রাজি হননি। তবে তার দাবি পানি ও বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্নের বিষয়টি প্রশাসন জানে। তারা ওই পরিবারকে ঘর ছাড়ার নোটিশ দিলেও তারা না যাওয়ায় বাধ্য হয়ে এ কাজ করেছেন। তাছাড়া তারা কোন টাকা পাবে না বলে দাবি করেছেন তিনি।
অবশ্য পুলিশের দাবি তারা বিষয়টি জানে না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছে।#