ঠাকুরগাঁও থেকেও দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার


জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
কঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হন যে কেউ। যাদের সরাসরি এই পর্বতশৃঙ্গে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় না, তারা হেমন্তের শেষে ও শীতের শুরুতে দূর থেকে একটু হলেও দেখতে পান এই কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ। প্রতি বছর দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে শীতের আগমনের সময় এই পর্বতটি দেখা যায়।
প্রতি বছরের মতো এবারও উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুভ্র সাদা বরফে আচ্ছাদিত পর্বতমালাটি দেখা যাচ্ছে। ভোরের আঁধার কেটে সূর্যের স্নিগ্ধ সোনালি আলোয় ঝলমলে দেখায় কাঞ্চনজঙঘা। বিকেলের মায়াবি আলোয়ও ভেসে বেড়ায় এই পর্বতশৃঙ্গে।
হেমন্তের এ সময় আকাশে মেঘ থাকে না, আবার কুয়াশাও থাকে না। গ্রামীণ জীবনের বাতাসে থাকে না ধুলোবালি। তখন ঠাকুরগাঁও থেকে অনেক দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। বিগত কয়েক বছর ধরে এখান থেকে সুন্দরের এই পর্বত দেখা যায়। তবে এবার যেন সব সৌন্দর্য একসঙ্গে হয়ে দেখা দিয়েছে ঠাকুরগাঁও থেকে দেখতে পাওয়া কাঞ্চনজঙ্ঘায় ।
কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতটি অবস্থিত ভারতের সিকিম ও নেপালে। এর উচ্চতা ২৪ হাজার ১৬৯ ফুট বা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় জায়গা কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভারতের অন্যতম শৈল শহর দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের প্রধান আকর্ষণও কাঞ্চনজঙ্ঘা। সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এখন দেখা যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও থেকে।
অপরূপ সুন্দরের এই দৃশ্য দেখতে ফাঁকা মাঠ, উঁচু দালান ও ফসলের মাঠে সাতসকালে ও বিকালে অবস্থান করেন অনেকে। দূর থেকেও অনেকে ছুটে আসেন ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে। আশরাফুল ইসলাম থাকেন ঢাকায়। ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে এসেছেন কয়েকদিনের জন্য। এক বিকেলে ছোট্ট সোনামণিদের নিয়ে বেরিয়েছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখার উদ্দ্যেশে। বালিয়াডাঙ্গীর বড়পলাশবাড়ির যুগিবস্তি পুলের কাছ থেকে দেখে বিমুগ্ধ হয়েছেন। বললেন, ‘প্রতি বছর এই সময়ে আমাদের ঠাকুরগাঁওয় থেকে স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। সবাইকে নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। ভবিষত্যে সিকিম বা নেপাল যেতে পারবো কিনা তার কোন ঠিক নেই। তবে সিকিম বা নেপালে অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ঠাকুরগাঁও থেকে দেখতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বললেন হুসাইন আহমদ। রংপুর থেকে
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার উদ্দ্যেশে ঠাকুরগাঁওয়ে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছেন মো. নূর জামাল। তিনি জানান, সকাল থেকে অবস্থান করছিলেন সদর উপজেলার বুড়িবাধ এলাকায়। তবে সকালে আসতে একটু দেরি হওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পারেননি। অধীর অপেক্ষার পর বিকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেরে তিনি মুগ্ধ ও খুশি।