নাটোর প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামের চামটা গ্রামে আদালতের জারী করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পুনরায় বাড়িঘর ভাংচুর, উচ্ছেদ ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনটি পরিবার বর্তমানে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছে। ইতিপূর্বে মাত্র ২০ দিন আগেও প্রকাশ্যে দিনের বেলায় এ বাড়িগুলো আরো এক দফা ভাংচুর করাসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার গাছ কেটে নেয়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন আসামীদের গ্রেফতার না করায় আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের।
জানা যায়, চামটা মৌজার ১৭১ হালদাগের ১০ কাঠা জমির মালিক মোক্তার হোসেন। এ জমিতে প্রায় ২৫ বছর যাবৎ তার দুই বড় ভাই আজিজুল হক ও তাইজুল হকসহ আরেক ভাতিজি জামাই বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ প্রতিবেশী মো: জনাব আলী জমিটি তার নিজের দাবি করে দখল নেয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে মামলা হলে আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারী করে। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার ভোরে তারা মোক্তার হোসেনের ভাই আজিজুল হকের ইতিপূর্বে ভাংচুর করা বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভান। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে জনাব আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সাবেক মেম্বার সাদেক আলী লোকজনসহ তাইজুল ইসলামের টিনশেড বাড়িঘর ভেঙ্গে উচ্ছেদ করে পুরো জমিটা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন। এতে এসব পরিবারের সদস্যরা তাদের ভিটায় যেতে পারছে না। এর আগে গত ১৩ অক্টোবরও তারা এসব বাড়িঘর ভাংচুরসহ আম, মেহগণি ও লিচুসহ ৩৮টি গাছ কেটে নেয়।
ক্ষতিগ্রস্থ আজিজুল হক বলেন, এর আগের ঘটনাতেও থানায় মামলা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রধান আসামী সাদেক মেম্বারসহ অন্যদের আটক না করায় পুনরায় এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। বর্তমানে আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করলেও প্রশাসন বা কেউ আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জনাব আলী বলেন, আমি জমিটি মোক্তার হোসেনের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। কিন্তু তারা জমির দখল ছাড়ছেন না। তাই আমার জমি আমি দখলে নিচ্ছি।
জমির মালিক মোক্তার হোসেন বলেন, আমি জমি বিক্রি করিনি। তারা অন্য কাউকে মোক্তার হোসেন সাজিয়ে জমিটি জাল দলিল করেছে। এ ব্যাপারে আদালতে সিদ্ধান্ত হবে জমিটি কার। কিন্তু তারা আগেই বাড়িঘর ভেঙ্গে ভিটা দখল করে নিচ্ছে তারা।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে গতকালও সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম, তারপরও বাড়িঘর ভাংচুর করলে সেটা অন্যায় করেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।