গ্রীস্মকালীন টমেটো উৎপাদন শীর্ষক মাঠ দিবস-

মনজিদ আলম শিমুল, দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক অরুন ও সালামের জমিতে গ্রীস্মকালীন টমেটোর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষিগবেষনা ইনস্টিটিউট এর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা এবং বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন প্রযু্ক্িত উদ্ভাবন ও কমিউনিটি বেসড পাইলট প্রোডাকশান প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচী এর প্রকল্প পরিচালক ড, ফারুক হোসেন কৃষকদের মাঝে বারি উদ্ভাবিত গ্রীস্মকালীন টমেটো (বারি হাই ব্রিড টমেটো -১১ এবং বারি হাই ব্রিড টমেটো -৮) উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেণ। তিনি বলেন,বাংলাদেশে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক দেশীয় টমেটো দিয়ে পুরন হলেও ২০ হাজার মেট্রিকটন টমেটো ভারত থেকে আমদানী করতে হয়। তাছাড়া সারাদেশে উৎপাদিত গ্রীস্মকালীন টমেটো শত করা ৮০শতাংশই বারি হাই ব্রিড টমেটো-৮। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে বিশেষত দিনাজপুর অঞ্চলে বারি হাই ব্রিড টমেটো-১১ জাত খুবই উপযোগি। গ্রীস্মকালীন টমেটো উৎপাদন অর্থনৈতিক ভাবে লাভ জনক। এ টমেটো আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হবেন। সেজন্য খরিপ-২ তেপা নিজ মেনা এমন উর্বর জমিতে বারি উদ্ভাবিত জাত সমূহ সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে অত্র এলাকার কৃষকদেও আহ্বান জানান। জনাব তপন শাহা, যুগ্নপরিচালক. বাংলাদেশ কৃষি উন্নায়ন কর্পারেশন, দিনাজপুর উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গ্রীস্মকালীন টমেটোর মাঠ দেখে এর সমূহ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেণ এবং এরবীজ প্রাপ্যতার বিষয়ে আলোক পাত করেণ। উক্ত মাঠ দিবসের ১০০ জন কৃষকের উপস্থিতিতে আর ও বক্তব্য রাখেন, মোছা: মাহবুবা খানম,বৈজ্ঞানিক কর্মকতা, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, দিনাজপুর এবং কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ সারোয়ার হোসেন। তাছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোস্তাকিম হাসান,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক সহ কারী বৃন্দ। উপস্থিত কৃষকরা এই নতুন ফসল আবাদে সত্বঃফুর্ত ভাবে আগ্রহ ব্যক্ত করেণ এবং প্রয়োজনীয় কলা কৌশল বিষয়ক সহযোগীতা কামনা করেণ। শেষে সভাপতির বক্তব্যে ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বি এ আর আই, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড,মুহম্মদ শামসুল হুদা বলেন,দিনাজপুওে টমেটোর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরা নাবি টমেটো চাষ করে মে মাস পযন্ত বাজার জাত করতে পারে যা একটি লাভ জনক ফসল। কিন্তু জুন থেকে নভেম্বরও এই সময়ে বাজারে টমেটোর প্রাপ্যতা কম থাকে এবং মূল্য বেশী থাকে। ফলে, বারি উদ্ভাবিত প্রযু্ক্িত ও জাতের টমেটে াগ্রীষ্ম কালে আবাদ কওে কৃষকদের বারতি মুনাফা অর্জনে ভূমিকা রাখবে এবং চাহিদা নিবারণ করবে। ইহা দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষিকে আর ও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে দাবি করেন ।