সঞ্জু রায়, বগুড়া: কয়েক দফা যাছাই-বাছাই শেষে বগুড়া সদর উপজেলায় নতুন করে আরো ৭২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে সরকার।
যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলেও এতদিন গেজেটভুক্ত ছিলেন না। তাদের নামে ইস্যু করা হয়নি সনদ। ফলে তারা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি।
চলতি বছরের গেল সেপ্টেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের বেসরকারি গেজেট যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্যে কমিটি অনুমোদনপূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। তারই প্রেক্ষিতে ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামুকার তিনজনের কমিটি ১০২ জন দাবিদার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করে।
বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি সমর কুমার পাল জানান, ১০২ জন দাবিদার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৯৫ জন ফরম উত্তোলন করেছিলেন। এদের মধ্যে ৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারিত আবেদন ফরম জামুকার কাছে জমা দেন।
এরপর তাদের নিয়ে জামুকা কমিটির কয়েক দফা যাচাই-বাছাই শেষে ৭২ জন ‘ক’ তালিকায়, ৫ জন ‘খ’ তালিকায় দ্বিধা বিভক্ত রায় এবং ২৫ জন উত্তীর্ণ হতে পারেনি ‘গ’ তালিকায়।
গেল সেপ্টেম্বরে উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের পর এবার তাদের নাম গেজেটভুক্তির সুপারিশ করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
ইউএনও জানান, অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও গুরুত্বের সাথে সদরে এই কাজটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
দাবিদার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের জন্য জামুকার কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়াও বগুড়া সদর উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদ হোসেন চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আমিন সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।