ইয়ানূর রহমান : যশোরের ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাইস্কুলের সাবেক সহকারী সিনিয়র শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মরনোত্তর দেহ দানের ঘোষণা দিলেন। তিনি মনিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত হেরমত আলী মোড়ল ও মৃত রুমিছা খাতুনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঝিকরগাছা পৌর সদরের পুরন্দুরপুর সাদ্দামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
১৯৫৩সালে জন্মগ্রহনের পর ১৯৭১সালে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাপিয়ে পরেন এবং পরবতীতে প্রায় ৪১বছর শিক্ষাগতা করে ২০২০সালে ‘আইপিডিসি-প্রথম আলো এর আয়োজনে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা পান। তিনি এবার যশোরের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে ৩শত টাকার নন জুডিশিয়াল
স্ট্যাম্পে এফিডেভিটের মাধ্যমে মরনোত্তর দেহ দানের ঘোষণা দিয়েছেন।
মরনোত্তর দেহ দানের ঘোষণা পত্রের সূত্রে জানা যায়, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চিকিৎসা সেবায় মরনোত্তর দেহ দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
মৃত্যুরপর ঝিকরগাছা পৌর সভার যে কোনো স্থানে চলমান রীতি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মাননা প্রদানের পর, তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মৃত দেহ যশোর মেডিকেল কলেজকে হস্তান্তর করার ঘোষণা করেছেন।
মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান এবং চিকিৎসা শাস্ত্রের উপকরণার্থে বা চিকিৎসার প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ তার দেহ ব্যবহার করতে পারবে। তার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কাহারো কোন আপত্তি থাকিলে অগ্রাহ্য হইবে।
১৮ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখ মঙ্গলবার যশোরের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের এ্যাড. জিএম আবু মুছা ও জজ কোর্টের এ্যাড. আবু বকর সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে এই এফিডেভিট রেজিস্ট্রি করে নেন। রেজিস্ট্রি নং ৮২৯৭, তারিখ ১৮/১০/২০২২। পরবর্তীতে একই তারিখে তার এফিডেভিটের কপি যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মহিদুর রহমানের নিকট জমা দিয়ে রিসিভ করিয়ে নেন।
ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ বলেন, তিনি আমাদের গর্ব। তিনি দেশের জন্য যুদ্ধ করে আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময়টা মানুষ তৈরীর কারিগর ছিলেন। এখনও তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেটাও শিক্ষার্থীদের জন্য করতে চাইছেন। সারাজীবন তিনি আমাদের নিকট উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে বেঁচে থাকবেন বলে আমি আশাবাদি।#