ইয়ানূর রহমান : শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহকের বৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার মণিরমাপুরের ছালামতপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের স্ত্রী তহমিনা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইমরান আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে
প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী তাহমিদ আকাশ।
আসামিরা হলো, রংপুর পীরগঞ্জ থানার গোবর্ন্ধনপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে এসএম সাকলাইনুল হক ও ফরিদপুর সদরপুর থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইমরুন নেছা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, তহমিনা খাতুনের স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। তার এক মাত্র ছেলে স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। গত ১৮ আগস্ট আসামি ইমরুন নেছার মোবাইল থেকে ম্যাসেজ আসে তার ছেলে ৫ হাজার ২শ’ টাকা উপবৃত্তি পেয়েছে। এ ম্যাসেজে আসামি সাকলাইনুল হকের মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়। ২০ আগস্ট তহমিনা ম্যাসেজে দেয়া মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে অপর প্রান্ত থেকে আসামি সাকলানুল হক নিজেকে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দেয় এবং তার ছেলেকে ৫ হাজার ২শ’ টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত উপবৃত্তি দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করে। এ টাকা বিকাশে দেয়া হবে বলে আসামি তার বিকাশ
নম্বর চায়। এর মধ্যে আসামি তহমিনাকে ৫২০০ এর সাথে ৮০০ যোগ করে তার সাথে বিকাশের পিনকোর্ড যোগ করে ফলাফল বলতে বলেন। তহমিনা ফলাফল বললে আসামি বিকাশ নম্বর চেক করে দেখে কোন টাকা নেই। এরপর আসামি তহমিনার কাছে তার
এটিএম কার্ডের নম্বর চায়। একই সাথে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাদের কাছে দেয়া সকল নম্বর নিরাপদ থাকবে বলেও নিশ্চিত করে। তহমিনা তার ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের জন্য একটি অ্যাপস ব্যবহার করে বলে আসামিকে জানায়। আসামি সাকলাইনুল হক তখন তহমিনাকে ৫২০০ এর সাথে ২৮০০ যোগ করে ফলাফলের সাথে ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের পিনকোর্ড যোগ করে ফলাফল বলতে বলেন। এরপর তহমিনার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে। ম্যাসেজের নম্বরটি আসামি জানতে চায়। ওপিটি নম্বরটি তহমিনা আসামিকে চারবার দিয়েছিল। এ বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানার পর ব্যাংকে যেয়ে তার হিসাবের বিবরণী তুলে জানতে পারেন আসামি তার ব্যাংক হিসাব থেকে তিন দফায় ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। যা আসামি সাকলাইনুল হকের ০১৮৪১-১৫৫৫৪৪ মোবাইল নম্বরে জমা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করলে পুলিশ তদন্ত শেষে ওই দুই জনের মোবাইল নম্বর বলে নিশ্চিত হয়।
পুলিশি তৎপরতার বিষয়টি আসামিরা জানতে পেয়ে সন্ত্রাসী দিয়ে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। তারপরও তহমিনা টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আদালতে এ মামলা করেছেন।